করোনা থেকে মুক্তি, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কমানায় কুশিনারা বন কুটিরে কঠিন চীবর দান উৎসব

501

জুরাছড়ি প্রতিনিধিঃ-বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি, দেশব্যাপী শান্তি ও মঙ্গল কমানায় মধ্যে দিয়ে জুরাছড়ি কুশিনারা বন কুটিরে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কঠিন চীবর দান শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, বিশ্বের চলমান ভয়াবহ করোনা ভাইরাস থেকে নিজে ও পরিবার সমাজকে রক্ষার জন্য সচেতনতার বিকল্প নেই। সুতরাং ঘরের বাইরে গেলেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তার পাশাপাশি বুদ্ধের অহিংসা নীতি প্রতিটি মানুষের মনে উজ্জিবীত করে এলাকায় সমাজে শান্তি ও সুখ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা বলেন, ‘‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার”- পাড়া কিংবা গোত্র ভেদাভেদ ভুলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ধর্মীয় অনুসাশন উন্নতি করতে হবে। বৌদ্ধে মৈত্রী নীতি অনুসরনে পারষ্পরিক বন্ধত্ব তৈরীর করার আহ্বান জানান।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমার বিশেষ প্রতিনিধি বনযোগীছড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কান্তি চাকমা বলেন, বুদ্ধের অহিংসা নীতিতে চললে ভেদাভেদ, অশান্তি থাকবেনা। তিনি আরো বলেন, বিহার উন্নয়নে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষে সকল প্রকার সহযোগীতার ইঙ্গিত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন চাকমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বনযোগীছড়া মৌজার হেডম্যান করুনা ময় চাকমা, স্থানীয় কার্ব্বারী ধনবান চাকমা, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ননাবী চাকমা, ওয়ার্ড সদস্য সুমন চাকমা ও চিচি মুনি চাকমা, উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি জ্ঞান মিত্র চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা একটায় বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সন্তোষ বিকাশ চাকমার পক্ষে নাতনী চার বছরে শুভ চাকমা কঠিন চীবর (বৌদ্ধ সাধকদের পরার কাপড়) উপস্থিত শত শত নারী-পুরুষের সাধুবাদ ধ্বনির মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করে। পরে তা বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি, সকল প্রানীর সুখ ও মঙ্গল কমানায় উৎসর্গ করা হয়।
অনুষ্ঠানে কঠিন চীবর দানের পাশাপাশি ধর্মীয় রীতিতে পঞ্চশীল গ্রহন, অষ্টপরিষ্কার দানসহ নানা দানের কাজ সম্পন্ন করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে সংর্ঘছার মহাস্থবির, জ্যেষ্ঠ বৌদ্ধ সাধক উত্তর পাল ভিক্ষু পূণ্যার্থী নারী-পুরুষের উদেশে ধর্মীয় দেশনা (উপদেশ বানী) দেন। পরে সন্ধ্যায় অর্ধশতাধীক ফানুস উড়ানো হয়।