হাতির আক্রমণ থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় লামায় ইআরটি গ্রুপ গঠন

181

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামাঃ-বন্যহাতির আক্রমণ হতে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারী এলাকায় ১০ সদস্য বিশিষ্ট ইআরটি (এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম) গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।
লামা বন বিভাগ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, চট্টগ্রামের যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী কুমারী বাজারে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ইআরটি গ্রুপকে হাতির জীবন যাত্রা, চলফেরা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারনা দেয়া হয়। কাগজে কলমে ধারনার পাশাপাশি গ্রুপটিকে ব্যবহারিক ভাবে হাতির আক্রমণ প্রতিহত করার কৌশল শিক্ষা দেয়া হয়। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, চট্টগ্রামের ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জার মোঃ ইসমাইল হোসেন, বন্যপ্রাণী ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য ও বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, চকরিয়ার ভারপ্রাপ্ত তর্মকর্তা মোঃ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
এছাড়া অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন, লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নুরে আলম হাফিজ, কুমারী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি হুমায়ন কবির, ইউপি মেম্বার মোঃ আলমগীর চৌধুরী সহ প্রমূখ।
লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নুরে আলম হাফিজ বলেন, এশিয়ান হাতি বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ আকৃতির স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণী। হাতি হলো ফ্ল্যাগশিপ প্রজাতি এবং এদেরকে ফরেস্ট ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়। আইইউসিএন বাংলাদেশ ২০১৫ সালের লাল তালিকা অনুযায়ী, এশিয়ান হাতি মহাবিপন্ন প্রজাতির তালিকাভুক্ত।
বর্তমানে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এদের বিস্তৃতি রয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কারণে টেকনাফ ও কক্সবাজারের আবাসিক ও অনাবাসিক হাতির আবাসস্থল ধ্বংস, করিডোর বিনষ্ট ও খাদ্যের অভাবসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে এশিয়ান হাতি লোকালয়ে চলে আসছে। ফলে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে।