রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নারী উন্নয়ন ফোরামের স্মারকলিপি

405

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-নারীর অধিকার বাস্তবায়ন ও পরিষদের বাৎসরিক বাজেটের ৩% ও পরিষদেও গৃহীত প্রকল্পের ২৫% কাজ নারী সদস্যদের মাধ্যমে বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছেন নারী উন্নয়ন ফোরাম।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফাতেমা তুজ জোহরার হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম। এ সময় নারী উন্নয়ন ফোরামের নারী নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, উপজেলার গভর্মেন্স প্রজেক্ট কর্তৃক ২০১৩ সালে পদাধিকার বলে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ইউপি নারী সদস্য, নারী কাউন্সিলর ও জেলা পরিষদ নারী সদস্য কর্তৃক নারী উন্নয়ন ফোরাম গঠিত হয়। তবে কোন উপজেলা চেয়ারম্যান নারী হলে সে উপজেলায় তিনিই হবেন সভাপতি। সে অনুযায়ী শিক্ষা, কর্মস্থান, সাংস্কৃতিক, সচেতনামুলক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন খাত নিশ্চিত করে উহা বাস্তবায়নের জনস্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক উপজেলার বাৎসরিক বাজেটের ৩% পর্যন্ত বরাদ্দ এবং পরিষদ গৃহীত প্রকল্প সমুহের ২৫% নারী সদস্যেও মাধ্যমে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩১ মে ২০১৫ সালে পরিপত্র জারি হয়। তৎসঙ্গে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কর্তৃক ১৩ জুলাই ২০১৬ সালে ২৫৪ (০৫) নং স্মারকের ধারাবাহিকতায় “নারী উন্নয়ন ফোরামকে শিল্প-বাণিজ্য কাজে যুক্তকরণ প্রকল্প” সৃজন হয় এবং ইহা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রতীয়মান হয় যে পরিপত্র সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন না থাকায় ফোরামের কার্যক্রম প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছে। তাই ২০২০ সালে মিঠামইন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলম (মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদেও ছোটবোন) কে আহবায়ক করে নারী উন্নয়ন ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হয়। সে অনুযায়ী চীফ কো-অর্ডিনেটর, আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর, উপজেলা কো-অর্ডিনেটর পদে সৃষ্টির মাধ্যমে নারী উন্নয়ন ফোরাম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু পুরস্কার বিজয়ী নারী উন্নয়ন ফোরামকে শিল্প বানিজ্য কাজে যুক্তকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাষ্টার মোঃ আবুল কালাম স্বাক্ষরিত স্মাকলিপি ও রাঙ্গামাটি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয় দেশের অর্ধেকের বেশী নারী। এই জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারী উন্নয়নে আইন আছে, কিন্তু মান্য নাই। তাই নারীর অধিকার বাস্তবায়ন ও পরিষদের বাৎসরিক বাজেটের ৩% ও পরিষদেও গৃহীত প্রকল্পের ২৫% কাজ নারী সদস্যদের মাধ্যমে বাস্তবায়নের আহবান জানানো হয়।