শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়া হচ্ছে খাগড়াছড়ি পর্যটন কেন্দ্র

427

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-করোনা পরিস্থিতির কারনে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) থেকে গেইট খুলে দেয়া হবে খাগড়াছড়ি পর্যটন কেন্দ্রগুলোর। রবিবার (২৩ আগষ্ট) খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন এই সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এর ফলে সব পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোর উপর করোনাকালীন সরকারি বাধা নিষেধ উঠে যাবে।
জানা গেছে, মার্চের মাঝামাঝি থেকে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে খাগড়াছড়ি পর্যটন কেন্দ্র ও আবাসিক হোটেল-মোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে প্রায় পাঁচ মাস ধরে পর্যটনের সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ ছিলো।
জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জেলায় করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটিসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে পর্যটন খুলে দেওয়া হয়েছে। এজন্য খাগড়াছড়ি হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরােধকল্পে গঠিত জেলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পর্যটন কেন্দ্রসমূহ পর্যটকদের জন্য শর্তসাপেক্ষে উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেয়া জেলা প্রশাসক।
যেসব শর্তসমূহ:
১. আগামী ২৮ আগস্ট ২০২০ তারিখ হতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পর্যটন স্পটসমূহ (জেলা পরিষদ পার্ক, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, রিছাং ঝর্ণা ও মায়াবিনী লেক) সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া যাবে। ২. পর্যটন কেন্দ্র সমূহে আগত পর্যটকগণকে মাস্ক পরিধান ব্যতিত পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। ৩. পর্যটন কেন্দ্র সমূহের প্র্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে পর্যটকগণের হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ৪. শারিরীকভাবে অসুস্থ অবস্থায় পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করা যাবে না। আর সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি/বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃক প্রণীত নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে বলে গান বিজ্ঞপ্তি জারিকরে জেলা প্রশাসক।
জেলার পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জেলা শহর ও উপজেলাগুলোতে প্রায় ১শ টিরও বেশি আবাসিক হোটেল-মোটেলে পর্যটন মৌসুমে দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক আসেন।
পর্যটকদের সেবায় আবাসিক হোটেল-মোটেলে প্রায় ৪ হাজার জন কর্মী, ট্যুরিস্ট গাইডসহ, ৭/৮ শতাধিক গাড়িচালক ও চালকের সহকারী এবং খাবারের দোকানের কর্মচারীদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে।
হোটেল ব্যবসায়ী ইব্রাহীম বলেন, ‘পর্যটন খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।’ সরকারি বিধি নিষেধ মেনে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠান চালু করবো।