কাপ্তাইয়ে রেশম কীট পালন বিষয়ক ২৫ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

362

কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাইঃ-বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারন কার্যালয় আয়োজিত ২৫ দিন ব্যাপী রেশম কীট (পলু) পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ বৃহস্পতিবার (৬ আগষ্ট) কাপ্তাইয়ের রেশম সম্প্রসারণ কেন্দ্রে সমাপ্ত হয়। এই প্রশিক্ষণে কাপ্তাই উপজেলা ছাড়াও কাউখালী এবং রাজস্থলী উপজেলার মোট ২৫ জন প্রশিক্ষাণার্থী অংশ নেন।
‘রেশম চাষ স¤প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে পার্বত্য জেলা সমুহের দারিদ্র বিমোচন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত রেশম কীট পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণকারীদের রেশম চাষ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়। রেশম চাষ পদ্ধতি, কিভাবে রেশম চাষ বৃদ্ধি করা যায়, রেশম চাষের মাধ্যমে কিভাবে দারিদ্র বিমোচন করা সম্ভব, সাধারণ জনগণ কিভাবে রেশম চাষের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেন এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটির আঞ্চলিক রেশম স¤প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কাঞ্চন বরন দাশ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী, রাঙ্গামাটি রেশম সম্প্রসারন কেন্দ্রের ম্যানেজার সুলগ্না চাকমা, কাপ্তাই মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোশাররফ হোসেন। প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজস্থলী থেকে আগত স্যাংমা প্রু মারমা চন্দ্রা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারী সকল প্রশিক্ষনার্থীদের হাতে সনদ পত্র তুলে দিয়ে অতিথিরা বলেন, রেশম চাষ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। যারা নিয়ম মেনে এবং যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে রেশম চাষ করেছেন তারা সবাই উপকৃত হয়েছেন। এখন যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তারা রেশম চাষ করে আরো বেশি লাভবান হবেন বলেও বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।
প্রশিক্ষনার্থী স্যাংমা প্রু মারমা চন্দ্রা বলেন, অল্প পরীশ্রমে এবং স্বল্প পরিসর জমিতেও যে রেশম চাষ করা যায় তা এই প্রশিক্ষণ থেকে আমরা শিখেছি। পারিবারিক দৈনন্দিন সকল কাজের মধ্যে থেকেও যে রেশম চাষ করা যায় এই বিষয়টিও আমাদের প্রশিক্ষণে শেখানো হয়েছে। তিনি নিজে প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে রেশম চাষ করবেন বলেও জানান।