শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়িঃ-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুমের মুজিবুল হকের বাড়ীর সংলগ্নের চীন মৈত্রী সড়কে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গা ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
পুলিশ দাবী করে বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী দলের একজন গডফাদার ছিলো। এই ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ পুলিশের ২ সদস্যও আহত হয়েছে। জানা যায়, বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি হলো, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭নং ব্লকের কালো মিয়া ওরফে কালো চাঁনের পুত্র ওক্কাট্টা শাহ আলম (৪৫)।
থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি একজন চিহ্নিত মাদক (ইয়াবা) ব্যবসায়ী এবং সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দলের গডফাদার। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ অসংখ্য অভিযোগে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান পুলিশ।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত ঘুমধুম ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার চীন মৈত্রী সড়কের গাড়ি পার্কিং এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির সহযোগী মুজিবুল হকের বাড়ির সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে একদল অস্ত্রধারী ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী দল অবস্থান করছে৷ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই জীবন চৌধুরীসহ পুলিশের একটি দল ঐ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী দলের সদস্যরা অতর্কিত গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।
বেশ কিছু সময় ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদলের সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে ১জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এতে পুলিশের ২ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল ৪০ হাজার ইয়াবা, ১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন আরও বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই সংক্রান্তে মৃত আসামীসহ পলাতক আসমীদের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা’য় একটি হত্যা মামলা, একটি অস্ত্র মামলা ও একটি মাদক মামলা রুজুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
উল্লেখ্য, নিহত ব্যক্তি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি এবং সংঘবদ্ধ দলের গডফাদার। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।