লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, খাগড়াছড়িঃ-রোপন এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১৯ জুলাই) সকালে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে একযোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয়ের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের বাস্তবায়িত এই বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি ছিলেন, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সংরক্ষিত (৯) আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামান, নবাগত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলম, এড. আশুতোষ চাকমা, পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, জাহেদুল আলম, খোকনেশ্বর ত্রিপুরাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা ও সদর প্রাইমারী ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এতে অংশ নেয়।
চারা বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, অক্সিজেন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। আর সে অক্সিজেন উৎপন্ন করে বৃক্ষ। তাই শুধু বৃক্ষ রোপন করলেই হবে না। সে চারা গাছের পরিচর্যাও করতে হবে। এতে করে পার্বত্য অঞ্চলে বৃক্ষ রোপনের মধ্যদিয়ে ভড়ে উঠবে ফুল ফল ও ঔষধী গাছ।
তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি আমাদের দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশটা রক্ষা হওয়া দরকার। পাশাপাশি দেশের মানুষের পুষ্টির দরকার। আমরা তাদের খাদ্য এবং অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার কথা চিন্তা করি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি আমার জেলা উপজেলার নেতাকর্মীদের জন প্রতি তিনটা গাছ লাগাতে হবে। একটা ফলের গাছ। একটা কাঠের জন্য যেটা পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা আনবে। আরেকটা ভেষজ গাছ। অর্থাৎ যে গাছ দিয়ে নানা ধরনের ওষুধ তৈরি হয়, সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এই ধরনের গাছ।
এমপি বলেন, করোনা ভাইরাস আমাদের সকল অগ্রযাত্রা সাময়িক ভাবে থামিয়ে দিয়েছে। আমি আশা করি জনগণ এ থেকে বেরোতে পারবে, আবার আমরা এগিয়ে যাব। এই সমস্যা শুধু আমাদের জেলায় নয়, বাংলাদেশে শুধু নয়, বিশ্বব্যাপী। কাজেই সবাই যেন এই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে পারি তার জন্য সবাই নিজেদের সুরক্ষায় থাকতে হবে।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দীঘিনালায় ৫৫ হাজার, পানছড়িতে ২০ হাজার, মহালছড়িতে ১৮ হাজার, মাটিরাঙ্গায় ৩৫ হাজার, রামগড়ে ১৭ হাজার ৫শ, মানিকছড়িতে ১৬ হাজার ও লক্ষীছড়িতে ১১ হাজার উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরিচালিত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে মোট ২ লক্ষ ১০ হাজার চারা বিতরণের কথা রয়েছে।