রোয়াংছড়িতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে নারী নিহত, আহত শিশুপুত্র

296

বান্দরবান প্রতিনিধিঃ-বান্দরবানের রোয়াংছড়ি সামুক ঝিড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে শান্তিলতা তঞ্চঙ্গ্যা (৩৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ওই নারীর ৭ বছরের এক শিশু অঞ্জুন কোয়েল তঞ্চঙ্গ্যা। আহত শিশুকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ৩৪ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়েছে। আর নিহত শান্তিলতার মরদেহ এখনও পর্যন্ত রোয়াংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে জুম চাষ করে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ওই ঘটনা ঘটে। তার বাড়ি রোয়াংছড়ি উপজেলার নাথিং ঝিড়ি এলাকায়।
নিহতের স্বামী রাংগোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা জানান, জুম চাষ শেষে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়িতে ফিরছিলাম। এ সময় সামুক ঝিড়ি এলাকায় আসলে আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তানকে সামনের দিকে এগোতে দিয়ে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে যায়। এময় সময় হঠাৎ করে গুলির শব্দ শুনি। তাড়াতাড়ি স্ত্রী ও সন্তানের অবস্থা গিয়ে দেখি গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে স্ত্রী ও শিশুটি। পরে তাদেরকে স্থানীয়রা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এদিকে উপজেলার নাথিং ঝিড়ি এলাকার বাসিন্দা খোকন তঞ্চঙ্গ্যা জানান, হঠাৎ করে আমরা গুলির শব্দ শুনতে পাই। গুলির আওয়াজ শুনে গ্রামবাসীরা এদিকে ওদিক ছোটাছুটি করতে লাগল। অনেকে গ্রাম ছেড়ে পাশের পাহাড়ে পালাতে লাগল। গতকাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিশুটিকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের গাছের ফাঁক থেকে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তবে তারা কি পোষাক পরিহিত ছিল সেটি ভাল করে চেনা যায়নি বলে জানান ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা জুম চাষীরা।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ কবির জানান, গুলিতে একজন নারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে নিহতের শিশুপুত্রও। হতাহতদের উদ্ধার করে রোয়াংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। কোন সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর গুলিতে নিহত হয়েছে তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা বাজারপাড়ায় অতর্কিত হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-এমএন লারমার বা সংস্কার দলের ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত তিনজন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এমএন লারমা বা সংস্কার দলের তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।