কাপ্তাই উপজেলার বিনোদন কেন্দ্র পদচারণ না পড়ায় সর্বত্র লতাগুল্ম ও বুনো ফুলের ছড়াছড়ি

305

কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাইঃ-করোনা ভাইরাসের প্রভাবের ফলে গত মার্চ মাস থেকে কাপ্তাই উপজেলার বিনোদন কেন্দ্র গুলো বন্ধ রয়েছে। যেসব বিনোদন কেন্দ্রে পূর্বে প্রতিদিন শতশত মানুষের আনাগোনা ছিল সেগুলোতে এখন বিরাজ করছে সুনসান নিরবতা। অনেক বিনোদন কেন্দ্রের সামনে তালা ঝোলানো আছে। মানুষের পদচারণা পড়ছেনা কোনো বিনোদন কেন্দ্রে। আর মানুষের পদচারণা না পড়ায় বিনোদন কেন্দ্রের চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে সবুজের ছড়াছড়ি। অনেক বিনোদন কেন্দ্রের মাটির উপর লতাগুল্ম এবং বুনো ফুলের সমাহারও লক্ষ করা গেছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, কাপ্তাই উপজেলায় বেশ কয়েকটি দৃষ্টি নন্দন ও আকর্ষনীয় বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো বিজিবি পরিচালিত জুম রেস্তোঁরা, নৌবাহিনী পরিচালিত লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট, সেনাবাহিনী পরিচালিত লেকশোর বিনোদন কেন্দ্র ও লেক ভিউ আইল্যান্ড। এছাড়াও রয়েছে কাপ্তাই নেশন্যাল পার্ক, প্রশান্তি বিনোদন কেন্দ্র, বনশ্রী পর্যটন কমপ্লেক্সসহ আরো বেশ কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র।
তবে সব গুলো বিনোদন কেন্দ্রই রয়েছে পর্যটক শুন্য। করোনার বিস্তার প্রতিরোধে এবং জনসমাগম এড়াতে সব বিনোদন কেন্দ্রই এখন বন্ধ রয়েছে। তবে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এখন প্রকৃতির অন্যরূপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের পদচারণা না পড়ায় সেখানে বুনো ঝোপঝাড় সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব বুনো ঝোপঝাড় ও লতাপাতায় বুনো ফুলের সমাহার দেখা গেছে। পূর্বে যেসব স্থানে কখনো লতাগুল্ম বা বুনো ফুলের দেখা মেলেনি সেসব স্থানে এখন প্রকৃতি অন্য রূপ নিয়ে হাজির। প্রতৃতির এমন রূপ আগে কখনো দেখা যায়নি।
প্রশান্তি বিনোদন কেন্দ্রের ম্যানেজার মাসুদ তালুকদার বলেন, গত প্রায় ৪ মাস আমরা বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রেখেছি। বাহিরের কোন লোকজনকে বিনোদন কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা। মানুষের যাতায়াত না থাকায় বিনোদন কেন্দ্র এলাকায় বিভিন্ন রকমের গাছপালা ও লতাগুল্ম বেড়ে উঠছে। প্রকৃতি বিশেষজ্ঞ আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, প্রকৃতি নিয়েই মানুষের বসবাস। কিন্তু মানুষের চাপে প্রকৃতি এতদিন আপন মহিমায় বেড়ে উঠতে পারছিলনা। এখন যেহেতু মানুষের পদচারণা পড়ছেনা তাই প্রকৃতি আপন রূপ দেখাতে পারছে। তবে প্রাকৃতিক রূপ বদলানোর সাথে সাথে প্রকৃতিতে বিভিন্ন রকমের পাখপাখালির আনাগোনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বনবাদাড়ে মনের আনন্দেন এখন পশু পাখি বিচরণ করতে পারছে। করোনা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলকে থমকে দিলেও এই কারণে প্রকৃতি পেয়েছে নিজেকে মেলে ধরার অনন্য সুযোগ।