রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবানঃ-করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বান্দরবানে চলছে ১০ম দিনের লকডাউন। গেল ২৫জুন থেকে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভায় চলছে ২১দিনের জন্য এই লকডাউন।
এদিকে লকডাউন ঘোষনার পরপরই বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২৫জুন) সকাল ৬টা হতে বান্দরবান ও লামা পৌরসভায় কঠোরভাবে লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউনের কারণে বান্দরবানে ঔষধের দোকান ব্যতীত সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মাছ বাজার, কাঁচাবাজার মুদি দোকান বন্ধ থাকার পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে গণ-পরিবহণ।
এদিকে বান্দরবান পৌরসভায় পক্ষ থেকে ৯টি ওয়ার্ডে লকডাউন কার্যকর করতে এবং জনসাধারণ ঘর থেকে বের না হয়ে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করার জন্য ভ্রাম্যমান ভ্যানগাড়িতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শাক-সবজি, কাচাঁমাল বিক্রির ব্যবস্থা করছে পৌর প্রশাসন আর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১শত ৫০জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের মাধ্যমে ওয়ার্ডভিত্তিক জনগনকে সেবার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
প্রতিটি ওয়ার্ডে লকডাউন কার্যক্রর করার জন্য পৌরসভার নির্ধারিত স্বেচ্ছাসেবকরা সকাল থেকে ওয়ার্ড এর প্রবেশমুখে অবস্থান করছে এবং জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি অনাকাংখিত ঘোরাঘুরি বন্ধে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছে। এদিকে জনসাধারণকে লকডাউন মেনে চলার জন্য শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
লকডাউন কার্যক্রর করার কাজে নিয়োজিত বান্দরবানের ৫নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক রাজু বড়–য়া জানান, বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ থেকে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক এর দায়িত্ব দেয়ার পর আমরা আমাদের কাজ সঠিকভাবে তদারকি করার চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা জনসাধারণকে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে মাক্স ব্যবহার করতে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং ঘরে অবস্থান করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, করোনা ভাইরাসে বান্দরবানে প্রচুর জনসাধারণ আক্রান্ত হয়েছে, তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভাকে লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী আরো বলেন, বান্দরবান একটি পর্যটন জেলা, এই জেলায় বেশিরভাগ জনসাধারণ পর্যটন নিয়ে ব্যবসা করে তাদের জীবনযাত্রা পরিচালনা করে, তবে করোনার এই সময়টা বান্দরবান সদর লকডাউন হয়ে যাওয়ায় এবং করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় বান্দরবানে অর্থনৈতিকভাবে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মেয়র আরো বলেন, করোনার এই সংকটকালীন সময়ে আমরা বান্দরবানের লকডাউনে থাকা হতদরিদ্র পরিবারে মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি এবং আগামীতে ও এই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।