রাঙ্গামাটিতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ১০৫ জন, আইসোলেশনের সংখ্যা বাড়ছে

416

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-গতকাল ২৪ ঘন্টায় রাঙ্গামাটি জেলায় আর কোন নতুন রোগী পাওয়া যায়নি। গত রবিবার বিকালে সর্বশেষ বাঘাইছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্তের মধ্যে দিয়ে রাঙ্গামাটি জেলায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১০৫ জন। তার মধ্যে গত ১৩ জুন সকালে কাপ্তাই উপজেলায় ৮ জন এবং রাঙ্গামাটি সদরের ১৪ জনসহ নতুন করে আরো ২২জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে রাঙ্গামাটি জেলায় আইসোলেশনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান আইসোলেশনে আছে ২৩ জন। জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২জন।
শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সিভাসু থেকে ২৫ জনের রিপোর্ট এসেছিলো, এদের মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিলো ৮ জন, তারা সবাই ছিলেন কাপ্তাই উপজেলার। রাতে বিআইটিআইডি থেকে ৫৭ জনের রিপোর্ট আসে, এর মধ্যে ১৪ জনের পজিটিভ এসেছে এবং এরা সবাই রাঙ্গামাটি শহরের বাসিন্দা এবং ১৪ জুন বিকালে আরো একজনের রিপোর্ট আসে। তিনি বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলার করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডাঃ মোস্তফা কামাল।
তিনি আরো জানান, রাঙ্গামাটি শহরের আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ৮ বছর বয়সী একজন কন্যাশিশু ছাড়া বাকি সবাই পুরুষ এবং তাদের বয়স ২৫,২৮,১৫,৪৫,২৬,৫৪,৩৪,২৭,৩৮,২১,২৭ এবং ২৬ বছর। অর্থাৎ নতুন এই আক্রান্তদের সর্বনিন্ম বয়স ৮ থেকে সর্বোচ্চ ৫৪ বছর পর্যন্ত। রাঙ্গামাটি থেকে এই পর্যন্ত নমুনা পাঠানো হয়েছে ১৫২৬ জনের।
রাঙ্গামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ২৩জন। কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৮৭ জন। করোনায় সুস্থ হয়েছেন ৫০ জন, মারা গেছে ২ জন। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রয়েছে ৫৩ জন।
বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীরা হচ্ছে বর্তমানে সদর উপজেলায় মোট আক্রান্ত ৫৫ জন, সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন, বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে ২২ জন। বাঘাইছড়িতে আক্রান্ত ৩ জন। লংগদুতে মোট আক্রান্ত ৫ জন, সুস্থ হয়েছে ৪ জন বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছে ১ জন। বরকলে এখনো পর্যন্ত কোন রোগী সনাক্ত হয়নি। জুরাছড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ৬ জন, সুস্থ হয়েছেন ৬ জন। বর্তমানে কোন রোগী নেই।
বিলাইছড়ি উপজেলায় মোট আক্রান্ত হচ্ছে ২ জন, সুস্থ হয়েছে ২ জন, বর্তমানে কোন রোগী নেই। রাজস্থলীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১ জন, সুস্থ হয়েছে ১ জন। বর্তমানে কোন রোগী নেই। কাপ্তাই উপজেলায় মোট আক্রান্ত ২২ জন, বেশ কয়েক জনের দ্বিতীয় টেষ্ট নেগেটিভ পাওয়া গেছে। এখনো পর্যন্ত কোন রোগী সুস্থ হয়নি। কাউখালী উপজেলায় মোট আক্রান্ত ১০ জন, সুস্থ হয়েছে ৩ জন। বর্তমানে রোগী রয়েছে ৭ জন। নানিয়ারচর উপজেলায় মোট আক্রান্ত ১ জন, সুস্থ হয়েছে ১ জন। বর্তমানে কোন রোগী নেই।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটি থেকে পাঠানো নমুনাগুলো চট্টগ্রামের সিভাসু ও বিআইটিআইডি পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট পাঠানো হয়। কিন্তু গত ৮ জুন সর্বশেষ রিপোর্ট পাঠানোর পর শুক্রবার (১২ জুন) পর্যন্ত টানা চারদিন জেলার কোন রিপোর্ট আসেনি।
পঞ্চম দিন শনিবার (১৩ জুন) সকালে সিভাসু থেকে ২৫টি এবং রাতে বিআইটিআইডি থেকে ৫৭টি রিপোর্ট আসলো। এই মোট ৮২টি রিপোর্টের মধ্যে ২২ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসলো। এনিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হলো ১০৪ জন। জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে একমাত্র বরকল ছাড়া বাকি সবগুলো উপজেলাতেই সংক্রমিত হয়েছে বিশ্বব্যাপি ভয়াবহ হয়ে উঠা কোভিড-১৯।