দীঘিনালার কাঠাঁল যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে

575

সোহেল রানা, দীঘিনালাঃ-খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার উৎপাদিত কাঠাঁল যাচ্ছে সারাদেশে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর, দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। তবে এবছর করোনা ভাইরাসের কারনে কাঠাঁলের দাম অনেক কম।
ব্যবসায়ীরা জানাযায়, উপজেলার বেতছড়ি, মধ্যবেতছড়ি, মেরুং,ছোট মেরুং,পোমাং পাড়া, জাম্বুড়া পাড়া, রশিকনগর এলাকায় কাঁঠাল বাগান চাষী রয়েছে। এসব চাষীরা দশ থেকে বার হাজার কাঁঠাল প্রতি সাপ্তাহিক হাটে নিয়ে আসেন। প্রতিটি কাঠাল আকার অনুসারে ১৫-৩৫টাকা দরে পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছে। এসব কাঠালের স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, মাইজদী, চৌমুহনীসহ দেশের বিভিন্ন আড়তে প্রেরণ করা হয়ে থাকে। তবে এগুলো দেশের বিভিন্ন আড়তে যাওয়ার পর সেখানে ৭০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে।
শনিবার(১৩জুন) বোয়ালখালী বাজারে কাঁঠাল বিক্রি করতে আসা মো. রমজান আলী জানান, ছোট মেরুং থেকে একশত পঞ্চাশটি কাঁঠাল বিক্রি করতে এনেছি। প্রতিটি কাঁঠাল ত্রিশ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গত বাজারের তুলনায় এ বাজারে দর ভালো পেয়েছি। নোয়াখালীর চৌমুহনীর পাইকরী ক্রেতা আশিষ কুমার জানান, মাটির ভিন্নতার কারণে এখানকার কাঠালের চাহিদা বেশি। তাই ্প্রতি বাজারে দুই থেকে আড়াই হাজার কাঁঠাল ক্রয় করে থাকি। আজও দুই হাজার কাঠাল ক্রয় করেছি। আকার অনুসারে প্রতিটি গড়ে ১৮ টাকা হারে পড়েছে। মো. আমিনুর রহমান ওরফে বাচা সওদাগর জানান,আড়তে কাচা কাঠালের চাইতে, পাকা কাঠালের চাহিদা বেশি। আমি আজ প্রায় ছয় হাজার কাঠাল ক্রয় করেছি। এর মধ্যে চার হাজার চট্টগ্রাম এবং দুই হাজার কাঠাল সিলেট পাঠিয়েছি।
এব্যাপারে দীঘিনালার উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুপন চাকমা জানান, দীঘিনালায় আগে বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল চাষ করা হতো না। বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এখানে আসায় অনেকেই বাণিজ্যিক ভাবে কাঠাল চাষাবাদ শুরু করছেন। অন্যদিকে কাঁঠালের পুষ্টি ও ঔষধিগুণ এবং মাটির ভিন্নতার কারণে এখানকার কাঁঠালের স্বাদও ভিন্ন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে কাঠাঁল যাছে, দেশের বিভিন্ন জেলায়।