নাইক্ষ্যংছড়িতে করোনা উপসর্গ নিয়ে পালিয়ে আসা এক গামেন্টস নারীসহ ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ

417

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ-চট্টগ্রাম গামেন্টস থেকে পা‌লি‌য়ে আসা এক চাক সম্প্রদায়ের নারীর করোনা সংক্রমণ নিয়ে সনাক্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গামেন্টস থেকে পালিয়ে আত্মপোপন থাকা নারীটির বাড়ী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের কুরিক্ষং চাক পাড়ার বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মোঃ ছলিম বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, বিশ্বস্থ সূত্রে এবং প্রথমিক ভাবে জানতে পারি চট্টগ্রাম গামেন্টস থেকে পালিয়ে আসা চাক সম্প্রদায়ের এক নারী বিগত দুই, তিন মাস ধরে করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থতায় ভোগছেন। চিকিৎসকের পরার্মশে ওষুধপত্র নিয়ে আত্মগোপন করেন নিজ এলাকায়।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এক পর্যায়ে চাক সম্প্রাদায় মহল থেকে প্রশাসনকে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে খবর দেয়। কারন ওই দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় মোবাইল সংযোগের কোন নেটওয়াক নেই। সোমবার (১৮ মে) দুপুরে ওই করোনা উপসর্গ নারীসহ পরিবারের সংস্পর্শ পাঁচ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সেই নমুনা (সেম্পল) কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। নমুনার ফলাফল আসলে বুঝা যাবে তাদেরকে আইসোলেশনে ভর্তির প্রয়োজন আছে কিনা।
আপাততে ওই ৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার নিদর্দেশ প্রধান করেন। তবে নমুনা টেস্টের ফলাফলের পর ওই নারীর আরো বিষয়াদি জানা যাবে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, ওই গামেন্টস কর্মী জ্বর ও কাশিসর্দিতে ভোগছেন প্রায় দুই-তিন মাস যাবত। বতর্মান পরিস্থিতি অনুযায়ী জ্বর কাশি করোনার উপসর্গ হিসেবে সে নিজে গোপনে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করে কিছু ঔষুধপত্র নিয়ে আত্মগোপন হয়ে চলে আসে গ্রামের নিজ বাড়ীতে। তার এসব খবরা খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো চাক সম্প্রদায়ে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান, চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে থাকা নারীটি গামেন্টস কর্মী বলে বিষয়টি জানতে পারি গত কাল সন্ধ্যায়। দূর্গম পাহাড়ী এলাকা বলে তাৎক্ষুণিক নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি।
পরদিন সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি টিম ওই এলাকায় রাওয়ানা দিয়ে দুপুর বেলায় পৌঁছেন তারা। গামেন্টস কর্মীর নমুনা সংগ্রহসহ পরিবারের সংস্পর্শ ৫ ব্যাক্তিকে হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকা নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তবে নমুনা টেস্টের ফলাফলের উপর নির্ভর করা হবে লকডাউন দেওয়া বিষয়টি। ওই নারীসহ পরিবারের সংস্পর্শ ৫জনকে একে বারে একটি আলাদা ঘরে রাখা হয়েছে।