করোনায় তিন পার্বত্য জেলায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদযাপিত হলো বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের বড় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা

273

ডেস্ক রিপোর্টঃ-করোনা মহামারিতে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে তিন পার্বত্য জেলায় উদযাপিত হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। এবার উড়বে না ফানুস, ঘরে বসেই প্রার্থনা আর ধর্মীয় মঙ্গল কর্ম সম্পাদন করছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা।
প্রতি বছর উৎসব মুখর পরিবেশে এ দিনটি উদযাপন করে থাকে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। রাঙ্গামাটি জেলায় বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারগুলোতে সাজানো বিভিন্ন সাজে। সকাল থেকে এইসব বৌদ্ধ বিহারগুলোকে ধর্মপ্রাণ দায়ক দায়িকাদের পদচারণায় মুখর থাকে। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরে বসেই তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম সম্পাদন করেছে। বিহারগুলো থেকে ধর্মীয় গুরুরা মাইকে তাদের ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে বৌদ্ধ বিহারগুলো সাজানো হয় বর্নিল সাজে, আর শত শত ভক্তের পদচারণায় মুখরিত হয় দিনটি। বান্দরবানের বিভিন্ন বিহারে বিহারে দিনব্যাপী হতো প্রার্থনা, ছোওয়াইং প্রদান (ভান্তেদের খাবার দান) প্রদীপ প্রজ্জলন, বোধিবৃক্ষমূলে চন্দন জল সিঞ্চনসহ নানা আয়োজন, তবে এই বছর করোনার কারণে কোনো উৎসবই পালন করছেন না তারা, ঘরোয়া ভাবে প্রার্থনার মধ্যদিয়েই এ দিনটি উদযাপন করছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জনসাধারণ।
বৌদ্ধ ধর্মমতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এ দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও প্রয়াণ বৈশাখি পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে একে ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ বলা হয়ে থাকে।
বান্দরবান কেন্দ্রীয় সার্র্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ উদয়নজ্যোতি মহাস্থবির জানান, করোনা সংক্রামকের কারণে সরকারি নিদের্শনা অনুযায়ী আমরা এই বছর বুদ্ধ পূর্ণিমার সকল আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ রেখেছি, শুধুমাত্র বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষুরা ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে এবারের বুদ্ধ পূর্নিমা পালন করছি।