নাইক্ষ্যংছড়ির চিকিৎসকসহ সোনালী ব্যাংকে করোনা রোগীর সংস্পর্শ নমুনা নেগেটিভ

209

নাইক্ষ্যংছড়িঃ-নাইক্ষ্যংছড়ি সোনালী ব্যাংক শাখায় করোনা শনাক্ত হওয়া এক নারী লেনদেন করায় স্থানীয় সোনালী ব্যাংকের ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীরসহ ১ চিকিৎসকের নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভের খবর পাওয়া গেছে।
বিষয়টি শনিবার (২ মে) বিকেলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি। তিনি বলেন, গত সোমবার (২৭ এপ্রিল) এক নারীর করোনা শনাক্তের পর বুধবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ লকডাউনসহ সকল কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরদিন ৩০ এপ্রিল কর্মকর্তা কর্মচারি ও চিকিৎসকসহ ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়। সেই ১০ নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
তিনি আরও বলেন, ওই কোভিড-১৯ পজেটিভ সনাক্ত মহিলাটি লেনদেন করতে গত সোমবার ২৬ এপ্রিল সোনালী ব্যাংক নাইক্ষ্যংছড়ি শাখায় গিয়েছিলেন। আমরা খবর পেয়ে সোনালী ব্যাংক ওই শাখায় সকল কার্যক্রম স্থগিতসহ লকডাউনের নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ওখান থেকে আর কেউ আক্রান্ত না হয় এবং ওই শাখার কর্মকর্তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছি।
যেহেতু লেনদেনে সংস্পর্শ হওয়ার সন্দেহে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর নমুনা সংগ্রহ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। স্থগিত কার্যক্রম ও লকডাউন কবে নাগাদ শিথিল করা হবে সে বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের পরার্মশ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার ২৬ এপ্রিল সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসে আক্রান্ত মহিলাটি। তার জ্বর ও সর্দি কাশির কথা জেনে চিকিৎসক বর্তমান করোনা পরিস্থিতির উপসর্গ হিসেবে কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। ওই নমুনার রিপোর্ট আসে ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায়। ওই রিপোর্টে দেখা যায় কোভিড-১৯ পজেটিভ।
পরে প্রশাসন খুজঁ নিয়ে জানতে পারে ওই পজেটিভ নারী স্থানীয় একটি ব্যাংকে গিয়ে টাকার লেনদেন করাতে ওই ব্যাংক শাখার সকল স্টাফের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হলে আজ ২ এপ্রিল দুপুরে সেই সব রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। হাসপাতাল আইসোলেশনে আক্রান্ত ৪ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সব রোগীর মধ্যে দ্বিতীয় আউটডোরে চিকিৎসা নেওয়া সেই নারীর প্রথমে উপসর্গ দেখা দিলেও এখন চিকিৎসার ফলে ৪ জনের মধ্যে কারও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছেন।
প্রসঙ্গগত, ব্যাংকে টাকা লেনদেন করা ওই করোনা রোগীর গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার নিজ গ্রামের বাড়ীর আশেপাশের যাতায়তেরর সংস্পর্শ ব্যক্তিসহ গ্রামের ১৭টি পরিবারের ঘর-বাড়ী লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয় এবং সংস্পর্শ ব্যাক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। সেই নমুনা থেকে ৩ জনের পজেটিভ আসে। প্রথম করোনা সনাক্ত রোগী আইসোলেশনে ১০দিন চিকিৎসা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে সুস্থতা হয়ে ঘরে ফিরলেও এর পরের ৪ সনাক্ত রোগী আইসোলেশনে রয়েছেন। নিয়মিত ন্যাশানাল গাইড লাইন অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে কমর্রত চিকিৎসকেরা। ১ মে শুক্রবার পর্যন্ত ১৩৮ জনের নমুনার রিপোর্টে ৫ পজেটিভ বাকী সব নেগেটিভ। ২ মে শনিবার নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৪ জনের।