লামায় দু’জনের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ

180

লামাঃ-করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য বান্দরবানের লামায় সন্দেহভাজন ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। লামায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন না থাকায় সন্দেহভাজনদের নিজ বাড়িতে আলাদা কক্ষে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ ফেরত দুই জনের বাড়ি লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল ২০২০ইং পর্যন্ত এই পরিবারের লোকজন বাহিরে যাবে না এবং কেউ তাদের বাড়িতে যাবে না।
নারায়ণগঞ্জ ফেরত দুই জন হল, মোঃ ফারুক (২৩) পিতা- মো. হুমায়ন ও মো. রাশেদ (২৭) পিতা- মো. জাহাঙ্গীর। দুইজনেই লামা পৌরসভার লামামুখ এলাকার বাসিন্দা। লামামুখের এই দুই বাড়িতে (আলী মিয়া ও মোঃ হুমায়নের বাড়ি) সকলকে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।
উপেেজলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদুল হক জানিয়েছেন, শনিবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় লামা পৌরসভার ৫ ওয়ার্ডের লামামুখ এলাকা হতে নারায়ণগঞ্জ ফেরত ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বান্দরবান জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে নমুনা গুলো পরীক্ষার জন্য ঢাকা আইইডিসিআর সেন্টারে পাঠানো হবে।
তিনি আরো জানান, ইতিপূর্বে লামায় ২৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ায় এবং কোন লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় তাদের অবমুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে বিদেশ ফেরত ও করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হতে আসা লোকজনকে সনাক্ত করে তাদের পারিবারিক হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরতদের খুঁজে খুঁজে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিচ্ছে। তিনি আরও জানান, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি অন্যান্য সহযোগিতাও করা হচ্ছে।
স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, গত ৫ দিনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লামা উপজেলায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক বহিরাগত লোক ডুকে পড়েছে। লামাকে লকডাউন ঘোষণা করলেও তা মানছে না সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে ডুকে পড়ছে এইসব মানুষ। তবে সাধারণ মানুষকে ঘরমুখি করতে ও বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে না যেতে প্রশাসনের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। ২৪/৭ সার্বক্ষণিক নন স্টপ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
অপরদিকে শুক্রবার সকালে লামা পৌরসভার রাজবাড়ি এলাকায় চট্টগ্রাম হতে চোরাইপথে ৩ জন প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে মো. লোকমান (১৮) যুবকটির সর্দি, কাশি ও গায়ে জ্বর রয়েছে। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাতে নির্দেশ দিয়েছেন লামা থানা। হত বৃহস্পতিবার উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দরদরী হাসপাতাল পাড়া, মুসলিম পাড়া, পুলিশ ক্যাম্প পাড়া ও টিয়ারঝিরি পাড়ায় ১৫/২০ নারী পুরুষ চট্টগ্রাম ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থান থেকে লামায় প্রবেশ করেছে।