নানিয়ারচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করলেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

471

রাঙ্গামাটিঃ-দুর্গম পার্বত্য এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, সরকার পার্বত্য দুর্গম এলাকার মানুষরা যাতে দ্রুত স্বাস্থ্য সেবা পায় তার জন্য হাসপাতালগুলোকে আধুনিকায়ন ও রোগীদের আনা নেয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্স সেবার নিশ্চিত করেছে। এই সেবা কার্যক্রম যাতে সঠিক ভাবে পালন করা হয় তার জন্য হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের তৎপর হওয়ার আহবান জানান তিনি।
সোমবার (৯ মার্চ) সকালে জেলা পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা ও নানিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুয়েন খীসার হাতে নানিয়ারচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত নতুন এ্যাম্বুলেন্স ও এ্যাম্বুলেন্স এর চাবি প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হাজী কামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, পরিষদ সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী, পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর কালে চেয়ারম্যান আরো বলেন, স্বাস্থ্য সেবা প্রতিটি জনগনের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার দুর্গম এলাকাগুলোতে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রাম, পাড়া ও দুর্গম এলাকায় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে নতুন পদায়নকৃত ডাক্তারদের নিয়মিত উপস্থিতিও নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, এই সেবার মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই কারণে পার্বত্য এলাকায় মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হারও অনেকাংশে কমে এসেছে। তিনি আরো বলেন, দুর্গম এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা আরো কি ভাবে বাড়ানো যায় তার জন্য রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জনকে আরো বেশী আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে ১০ শষ্যা বিশিষ্ট দূর্গম নানিয়ারচরে স্বাস্থ্য কর্মপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত হলেও স্বাস্থ্য কর্মপ্লেক্সে কোন এ্যাম্বুলেন্স ছিল না। এর পর ২০১০ সালে পুরাতন একটি এ্যাম্বুলেন্স স্বাস্থ্য কর্মপ্লেক্সকে দেয়া হলেও কিছুদিন ব্যবহারের পর তা অকেজো হয়ে পড়ে। এতদিন এ্যাম্বুলেন্স না থাকার কারণে মুমুর্ষরোগী কিংবা প্রসুতিসহ এলাকার হতদরিদ্র মানুষের অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে মাইক্রো অথবা সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া করে অন্যত্র যেতে হতো। এবার নতুন এ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার কারণে এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষদের দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর হলো।