সোনালি আঁশের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি দিয়েছে পাট-বৃষ কেতু চাকমা

333

রাঙ্গামাটিঃ-পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে পরিবেশ বান্ধব পাট ও পাটপণ্য ব্যবহারে জনগনকে উৎসাহিত করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, সোনালি আঁশের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি দিয়েছে পাট। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে পাট ছিল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত। তিনি বলেন, পাট ও পাটপণ্য শুধু পরিবেশবান্ধব এবং সহজে পচনশীলই নয় এটা পরিবেশকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে।
পাট অধিদপ্তর, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের যৌথ আয়োজনে শুক্রবার (৬মার্চ) সকালে জাতীয় পাট দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা প্রমূখ। এ সময় বিভিন্ন সরকারী বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম পাট অধিদপ্তরের পাট সহকারী সমন্বয়ক (জেডিএ) বাবুল চন্দ্র দাশ।
আলোচনা সভায় পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, পাট খাতকে লাভজনক করার জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শতভাগ দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে উৎপাদন ও রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পাট পণ্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষার্থে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সিনথেটিক পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে প্রাকৃতিক তন্তুজাত পণ্যের ব্যবহারে গুরুত্ব প্রদানের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে বহুমুখী পাট পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই পাট যেমন অর্থ উপার্জনকারী ফসল তেমনি পরিবশে বান্ধবে অবদান রাখতে পারে।
আলোচনা সভার আগে “সোনালী আঁশের সোনার দেশ, মুজিব বর্ষে বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা জেলা প্রশাসকের কার্যালের সামনে থেকে একটি পাট র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।