বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় পার্বত্য মন্ত্রীর উদ্বেগ

200

বান্দরবানঃ-পার্বত্য বান্দরবানের জামছড়ি মুখ পাড়ায় বর্বোরোচিত কায়দায় হামলা চালিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বাচনু মারমাকে হত্যা ও একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় আরো অন্তত ৬ জনের হতাহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এম,পি।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এর সহকারী একান্ত সচিব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করেন ।
বীর বাহাদুর উশৈসিং এম,পি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য শান্তি ও উন্নয়ন বিরোধী অপশক্তি এ ঘটনার পেছনে জড়িত থাকতে পারে।
কাদের দ্বারা এই হামলা ও হত্যাকান্ডের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য এলাকায় শান্তি-শৃংখলা ও উন্নয়নের ধারা চলমান রাখার স্বার্থে অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত ও আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু সন্ত্রাসী ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙ্গালী তথা আপামর জনগোষ্ঠী শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির পর পশ্চাৎপদ এই অঞ্চলে যেভাবে উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়েছে তাকে নস্যাৎ করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারী চক্র তৎপর।
তিনি আরো জানান, অস্ত্রবাজির মাধ্যমে শান্তি ও উন্নয়নের স্বপক্ষ শক্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দমন ও সাধারন জনগণকে আতংকিত করে উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করতে পারলেই তাদের উদ্দেশ্য সফল। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নকে পেছন থেকে, অন্ধকার থেকে টেনে রাখার এই অপকৌশল বন্ধ করতে হলে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবী।
পার্বত্য মন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে ঘটে আসা অপহরণ-হত্যা-গুমসহ সর্বশেষ জামছড়িতে বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য দাবী জানিয়েছেন।