ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অতর্কিতভাবে গ্রেপ্তার করা হলে পন্থা অবলম্বনের হুশিয়ারি প্রকাশ চাকমার

2123

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাঙামাটিতে নাসির হত্যা চেষ্টা পরিবারের দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের বিশেষ ক্ষমতাধর ব্যক্তির মোবাইল ফোনের চাপ বা নির্দেশে যদি কোন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ অন্য পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হবে বলে প্রশাসন ও জেলা আওয়ামীলীগের বিশেষ ক্ষমতাবান ব্যাক্তিকে ইঙ্গিত করে হুশিয়ারী দিয়েছেন রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা।

সোমবার রাত ১১.২১ মিনিটে প্রকাশ চাকমার ফেইজবুক আইডিতে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি শিরোনামে একটি স্টেটাসের মাধ্যমে এ হুশিয়ারি দেন।

 

প্রকাশ চাকমার ফেইজবুক স্টেটাসটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলোঃ

ফেইজবুক স্টেটাস লিংক

আমি বারবার বলছি, রাঙ্গামাটি শহর যুবলীগের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মী নাসিরের উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক, এ ঘটনায় রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ পরিবার খুবই ব্যতীত।

গত ৮/২/২০২০ইং তারিখে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জেলা যুবলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের ভাষ্যমতে এবং তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে বুঝতে বাকী নেই ঘটনাটি সম্পূর্ণ রাঙ্গামাটি জেলা যুবলীগের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মতপার্থক্যের বিষয়….!!! এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে জোরানো বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও রহস্যজনক!!!

আমাদের সাংগঠনিক অবিভাবক এবং রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক জননেতা জনাব দীপংকর তালুকদার এমপি মহোদয় জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ দু’নেতাকে(কামাল আংকেল এবং মতিন আংকেলকে) দায়িত্ব দিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই করে জেলা আওয়ামীলীগকে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে অবগত করার জন্য। উক্ত ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই করে সে বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে। ঊনার(দাদার) নির্দেশ এবং পরামর্শকে অগ্রাহ্য করে কে বা কারা উক্ত ঘটনাটি দামাচাপা দিয়ে প্রাণপ্রিয় ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে জোরানোর জন্য বারবার অপচেষ্টা করছে তা আমরা জানি……।

উক্ত ঘটনার বিষয়ে “দাদা” কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত রাঙ্গামাটি জেলার শীর্ষ দুজন আওয়ামীলীগ নেতার(কামাল-মতিন) নেতৃত্বে ফাইনাল বৈঠক(ছাত্রলীগ-যুবলীগের সাথে) শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন বিশেষ ক্ষমতাধর ব্যক্তির মোবাইল ফোনের চাপ বা নির্দেশে……যদি কোন ছাত্রলীগ কর্মীকে অতর্কিতভাবে গ্রেপ্তার করা হয়…..তাহলে রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ অন্য পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হবে।

বিশেষ অনুরোধে – #প্রকাশ_চাকমা (সাধারণ সম্পাদক) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা শাখা। মোবাইল -০১৫৫৩৬১৬৬২০

[বিঃদ্র- রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন কোন নেতা/কর্মীকে গ্রেপ্তার করার জন্য আমাদের দলের(আওয়ামী পন্থী) মধ্যে কোন বিশেষ নেতা যদি ফোন করে প্রশাসনকে বারবার চাপ দেয় সে ব্যক্তির নাম,পরিচয়,পদবীসহ বিস্তারিত আমাকে জানানোর জন্য(প্রকাশ চাকমা, সাধারণ সম্পাদক, রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ) স্বাধীন বাংলাদেশের গর্বিত আইন শৃংখলা বাহিনী তথা জনতার সেবক পুলিশ বাহিনীর (পুলিশ ভাইদের) প্রতি বিশেষ অনুরোধ রইলো]

প্রসঙ্গত: গত ২৭ জানুয়ারি রাঙ্গামাটি শহরের রাঙ্গাশ্রী কমিউনিটি সেন্টারে ডেকে নিয়ে যুবলীগ নেতা নাসিরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

নাসিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকরা তাকে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। সেখানেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে নাসির তার বাসায় আছেন। হামলা ঘটনার ৩ দিন পর ৩০ জানুয়ারি কোতয়ালি থানায় নাসিরের স্ত্রী সালেহা আক্তারের তার স্বামীকে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে। এই মামলায় জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৮ জন নেতাকর্মীকে আসামী করেন করা হয়। মামলা দায়ের করার ১২ দিনেও কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ৯ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে আহত নাসিরের মা,স্ত্রী,সন্তান ও ভাইবোনসহ পরিবারের সদস্যরা। হামলার ঘটনার ১৩ দিন পর আজ ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার ৫ নং অভিযুক্ত মীর শাকিল কে গ্রেফতার করে পুলিশ।