লামায় চাঁদা না দেয়ায় স্কুল শিক্ষকের বসতবাড়ি পুড়িয়ে দিল সন্ত্রাসীরা

235

লামাঃ-লামা উপজেলায় চাঁদা না দেয়ায় মো. খালেকুজ্জামান নামে এক স্কুল শিক্ষকের বসতবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাফেজ পাড়ায় রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) গভীর রাত ৩টায় এই ঘটনা ঘটে। মো. খালেকুজ্জামান হাফেজ পাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে।
স্কুল শিক্ষক মো. খালেকুজ্জামান জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারী সোমবার আমার কাছে উড়োচিঠি দিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করা হয়। চিঠিতে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে চাঁদার টাকা না দেয়ায় বসতবাড়িটি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বা কেরোসিন দিয়ে আগুন দিয়েছে। আমরা কিছু বুঝে উঠার আগে ১০/১৫ মিনিটের বসতঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে আব্দুল মালেক কান্নাজড়িত কন্ঠে ক্ষয়ক্ষতি ১৫ লক্ষ টাকা বলে দাবী করেছেন। আগুনে ৫ টন ধান ৮ বস্তা চাল সহ ফার্ণিচার ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে যায়।
একই এলাকার বাসিন্দা চনুমং মার্মাকে দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে উঠোচিঠি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার পরিবার নিয়ে আতংকে আছি। আমি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দাবী করছি। ঘটনাস্থল সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
গত ১ মাসে মাস্টার পাড়া, হাফেজ পাড়া ও বৈদ্য ভিটায় ১২টির অধিক বাড়ি ঘর দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে বলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবু তাহের ও মো. শফিউল আলম জানিয়েছেন।
রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা কামনা করছি। পাশাপাশি এলাকার লোকজনের মাধ্যমে ১৮টি গ্রুপ করে দিয়েছি। তারা ধারাবাহিকভাবে প্রতি রাত জেগে পাহারা দিবে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, অপরাধীদের ধরতে আমরা তৎপর আছি। এইসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। চাঁদা দাবি ও আগুন লাগিয়ে বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া অপরাধীদের যেকোনো মূল্যে গ্রেফতার করা হবে।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে স্থানীয় সবার সহায়তায় সকলে নিরাপত্তা সৃষ্টিতে কাজ করছি।