রাঙ্গামাটিঃ-পাড়াকেন্দ্র শিশুদের অংশগ্রহণে ইউনিয়ন ভিত্তিক মুজিব জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে রাঙ্গামাটির বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে নোয়াদম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে ৩৮টি পাড়াকেন্দ্রের শিশুদের নিয়ে শিশু মেলা আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমে শিশু মেলায় ৪টি স্টল পরিদর্শন করা হয় এবং দিনব্যাপী স্টলগুলো চলে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় নোয়াদম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও টেকসই সামাজিক সেবা প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত এশিশু মেলা অয়োজন করা হয়।
বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরুন কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কার্বারী হীরা লাল চাকমা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক মঞ্জু মানস ত্রিপুরা, প্রোগ্রাম অফিসার বোরহান উদ্দিন, পিসি জ্যোতিরময় চাকমা, পিসি সোহেব, বন্দুক ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক অতন চাকমা, নোয়াদম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সন্তোষ জীবন চাকমা, রঙচঙ্যা ক্লাব সভাপতি কালাইয়া চাকমা ,বন্দুক ভাঙ্গা ইউপি সদস্য জ্যোতিনময় চাকমা, ইউপি সদস্য বিমলেন্দু চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড টেকসই সামাজিক সেবা প্রকল্প সহকারি প্রকল্প ব্যবস্থাপক রিপন দেওয়ান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রঙচঙ্যা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জ্যাশন চাকমা।
শিশু মেলায় বক্তারা বলেন, আমরা বস্ত্র মেলা, পাট মেলা ও নারী উদ্যাক্তা মেলাসহ অনেক মেলা দেখি। কিন্তু এই শিশু মেলাটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী মেলা। মেলাটির মাধ্যমে শিশুদের মিলন মেলা হয়। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদের সুন্দর করে গড়ে তুলতে এমেলা অনেক ভ’মিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বক্তারা প্রযুক্তির মোবাইল সম্পর্কে সচেতনামূলক কিছু ধারনা দিয়ে বলেন, ছোট শিশুদের হাতে মোবাইল দেবেন না এবং প্রতিটি মা-বাবাকে এবিষয়ে সচেতন হতে হবে। ১৮ বছর নিচে সবাই শিশু এবয়সে তাদের শিখার বয়স শিশু বয়সে শিশুরা মোবাইলে আসক্ত হলে লেখাপড়ার প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়বে।
বক্তারা আরো বলেন, ছোট্ট শিশুরা একদিন জাতির ভবিষৎ হবে। তাই আমাদের শিশুদের নিয়ে ভাবতে হবে যাহাতে শিশুরা সবসময় ভালো শিক্ষা পাই। খারাপ পথে যাহাতে না যায় সেজন্য বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে। মা হচ্ছে শিশুদের সবচেয়ে কাছের মানুষ। তাই শিশুদের সুন্দর ভবিষৎ করতে মায়ের অবদান বেশি।