বারি পেয়াজ-৫ এর উপর বিশেষ প্রকল্প গ্রহন করা হবে-নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা

743

আজহার হীরা, খাগড়াছড়িঃ-খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য এলাকার মাটি এবং জলবায়ু বারি পেয়াজ-৫ চাষের উপযোগী। পরীক্ষামুলক ভাবে চাষ করে তারই প্রমাণ পেয়েছেন খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’র কৃষি বিজ্ঞানীরা।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’র চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট’র মহা-পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল ওহাব’র সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’র মসলা প্রকল্পের কনসালটেন্ট ও বারি পেয়াজ-৫ এর উদ্ভাবক ড. মোঃ মহব্বত উল্যা ও পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র খাগড়াছড়ির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’র চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা জানান, বাংলাদেশের পেয়াজের চাহিদা পুরনে উন্নয়ন বোর্ড থেকে বারি পেয়াজ-৫ এর উপর বিশেষ প্রকল্প নেয়া হবে। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকেও বিশেষ প্রকল্প নেয়া হবে বলেও জানান বারি’র মহা-পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল ওহাব। বর্তমানে বাংলাদেশের পেয়াজের চাহিদা পুরণ করতে এই পেয়াজ বিশেষ ভুমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় মাঠ দিবসের আলোচনা সভায়।

উল্লেখ্য যে, বারি পেয়াজ-৫ এর উদ্ভাবক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’র মসলা প্রকল্পের পরামর্শক ড. মোঃ মহব্বতউল্যা জানান, ১০-০৯-২০০২ সালে বারি পেঁয়াজ-৫ উদ্ভাবন করেন তিনি। ২০০৮ সালে এই পেঁয়াজটি বারি পেঁয়াজ-৫ নামে জাত হিসেবে মুক্তায়িদত হয়। তিনি আরো জানান, বারি পিয়াজ-৫ মুলত গ্রীষ্মকালীন পেয়াজের জাত। এই পেঁয়াজের বিশেষত্ব হল জানুয়ারী থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই পেয়াজ বছরে তিনবার রোপন করা যায়। এই পেয়াজ শীতকালীন অন্যান্য যেকোন পেয়াজের চেয়ে দ্বিগুন উৎপাদন হয়। এই পেঁয়াজ শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামেরই নয়, বাংলাদেশের যেকোন অঞ্চলেই এই পেঁয়াজ চাষ করা সম্ভব। প্রতি হেক্টরে এই পেঁয়াজের ফলন হয় ২৫ মেট্রিক টন।