সমতলের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামে ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে – মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম

360

নিজস্ব প্রতিবেদক,রাঙ্গামাটি – স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় অনেক সমস্যা ছিল পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে সেসব সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৯৭ সালের ২রা ডিসেম্ভর সম্পাদিত পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে এইসব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।

তাই সমতলের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামে ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের উন্নত সম্ভব না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের সু-বাতাস বইছে। তাই পার্বত্য এলাকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সকলকে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, একটি উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে তিন পার্বত্য জেলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণায়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ও রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং এমপি, রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মারমা, বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, রাঙ্গামাটি জুরাছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কাশেম, বান্দরবান পৌরসভা মেয়র মোঃ ইসলাম বেবী, রাঙ্গামাটি কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ফারুক, লামা ইউপি চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি আরো বলেন, সবার সমন্বয়ের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। কারণ সমন্বয় না থাকলে এলাকার উন্নয়ন কখনো তরান্বিত করা সম্ভব নয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং এমপি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ১০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, সমতল ও পার্বত্য এলাকার ভৌগলিক অবস্থান এক নয়, তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশেষ অঞ্চল ঘোষণা করে এ এলাকার উন্নয়ন কর্মসূচী প্রণয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, সমতল থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা সফল করতে হলে সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে।

দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এক সময় ছিল বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো, উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা শুরু করা হয়। তিনি বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশেষ অঞ্চল হওয়ার কারনে এখানে বাড়ানো প্রয়োজন । এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, ২০১৭ সালের পাহাড় ধসের পর রাঙ্গামাটিতে শতাধিক মানুষ নিহত হলে ও এখনো এখানকার অনেক রাস্তাঘাট নির্মাণ বা মেরামত হয়নি এসব রাস্তা মেরামতকরা সহ ভবিষ্যৎ দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য এখন থেকেই একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহনের আহবান জানান তিনি।

এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি খাগড়াছড়ি পৌরসভার একটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। রাঙ্গামাটি মতবিনিময় সভা শেষ করে মন্ত্রী কক্সবাজারের উদ্দেশ্য রাঙ্গামাটি ত্যাগ করেন।