রোয়াংছড়িতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা ও ঘাতক স্বামী আটক

366

রোয়াংছড়িঃ-বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার লাপাইগয় পাড়াতে অংমেসিং মারমা (৩০) কে ঘাতক স্বামী ক্যনুঅং মারমা (৩৮) পিটিয়ে হত্যা করেছে।
পুলিশ ও পাড়াবাসির সূত্রে জানা গেছে নিহত ব্যক্তি রোয়াংছড়ি উপজেলা ৩নং আলেক্ষ্যং ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড কচ্ছপতলি পাড়ার বাসিন্দা থুইসাচিং মারমার (জদিরা) মেয়ে অংমেসিং (৩০) মারমা। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, সোমবার (২১ জানুয়ারী) কচ্ছপতলি পাড়ায় নিহতে অংমেসিং মারমা তিনি তার দাদু শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে আসছিলেন। ওই দিন রাত হয়ে গেলে লাপাইগয় পাড়া নিজ বাড়িতে না ফিরে কচ্ছপতলি বাপের বাড়িতে থাকেন। সে দিন রাতে অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে স্বামী ক্যনুঅং মারমা কচ্ছপতলি শ্বাশুড় বাড়িতে এসে স্ত্রী অংমেসিং মারমাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এতে নিজ বাড়ির পৌছঁলে স্ত্রী অংমেসিং মারমাকে খুন করেন।
পরে নিহতের ঘাতক স্বামী নিজ স্ত্রী মরার খবর পাড়াবাসিকে জানানো হয়। পাড়া বাসিরা অংমেসিং মারমা নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশকে খবর দেন। নিহতে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক স্বামী ক্যনুঅং মারমাকে আটক করে থানা নিয়ে আসে। নিহত মহিলা অংমেসিং মারমার বাবা থুইসাচিং মারমা অভিযোগ করে বলেন, বিনা কারণে আমার মেয়েকে আমাদের বাড়ি থেকে রাতের আর্ধারে ডেকে নিয়ে ঘাতক স্বামী ক্যনুঅং মারমা খুন করা হয়েছে। তাই খুনি ক্যনুঅং মারমাকে কঠিন শাস্তি দাবি করেন।
এব্যাপারে রোয়াংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শরিফুল ইসলাম ঘটনা স্বীকার করে বলেন, রাতে প্রায় ১১টার দিকে খুনের ঘটনার সংবাদ পেয়ে আসামিকে আটক করে নিহতের লাশসহ থানা নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অংমেসিং মারমাকে খুন করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবার দাবি করছেন। তবে নিহত ব্যক্তির গায়ে কোন রক্তক্ষরণ অবস্থা পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত ঘটনা তদন্তের পরে জানান যাবে। এসময় ঘটনাস্থল উপজেলা চেয়ারম্যান চহাইমং মারমা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রেজাউল করিম পরিদর্শন করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।