নিজস্ব প্রতিবেদক,রাঙ্গামাটি – সৎমার ছুরির আঘাতে সাড়ে ৪ বছরের শিশুকে আশংকাজনকভাবে উদ্ধার করেছে রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানা পুলিশ।
পারিবারিক দ্ব›েদ্ধর জেরে রাঙ্গামাটি শহরের সোনালীবাগ এলাকায় সৎমা কাউসার ফেরদৌস বাসায় এসে শিশু ফারজানের গলা কেটে দেয় এসময় শিশুর চিৎকারে ফারজানের মা ঘরে এসে সৎমা দ্বারা শিশুর গলা কাটতে দেখলে চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী ও পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা গুরুতর আহত শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করে। সৎমা কে আটক করেছে পুলিশ।
হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শওকত আকবর জানান, মুমুর্ষ অবস্থায় শিশুটিকে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের সহযোগিতায় আমরা শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়েছি। তিনি জানান, ছুরির আঘাতে শিশুটির গলায় প্রায় ৫ থেকে ৬ ইঞ্চির মতো কাটা গেছে। শিশুর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত শিশুর মা জানান, তিনি দুপুরের দিকে বাসায় ছাদে কাপড় শুকাতে গেলে এক পর্যায়ে আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী কাউসার ফেরদৌস আমার বাসায় এসে আমার শিশুকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এ সময় আমার ছেলের চিৎকার শুনে আমি রুমে আসলে দেখি আমার ছেলেকে সে ছুরি দিয়ে গলা কেটে ফেলছে। তখন আমাকে দেখে সে আমার ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্যেশ্যে তারা করে।
পরে আমার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে করে এবং পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহায়তায় ঐ মহিলাকে আটক করা হয়। পরে আমার ছেলেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি সদর সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারী মহিলাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আহত শিশু ফারজানের মায়ের বক্তব্যে শুনে আমরা আইনী প্রক্রিয়া শুরু করবো। তিনি বলেন, শিশুটির অবস্থা এখনো আশংকজনক।