বান্দরবানে পর্যটনের নামে ভূমি দখলের অভিযোগ

298

বান্দরবানঃ-বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পাহাড়িদের জুমভূমি দখল করে পর্যটন স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। বেদখল হওয়ার জমি উদ্ধারের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বান্দরবান শহরের প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তিন ইউনিয়নে ১১টি পাড়ার মারমা ও চাক সম্প্রদায়ের শতাধিক জনসাধারণ অংশ নেন।
নাইক্ষ্যংছড়ির স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াইমং চাক অভিযোগ করে বলেন, তাঁরা বংশ পরম্পরায় নিজের এলাকায় বসবসাস করে আসছিলেন, হঠ্যাৎ করে বলা হয় সেখানে পর্যটন স্পট গড়ে তোলা হবে। স্থাপনার জন্য ইতোমধ্যে জুমচাষের জায়গা দখল করে নেওয়া হয়েছে।
উচ্ছেদের আশঙ্কা জানিয়ে উক্য চাক বলেন, জুমভূমি এলাকাবাসীদের চাষের একমাত্র সম্বল। এগুলো চলে গেলে নিজ জায়গা ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
মানববন্ধন কর্মসূচি সংহতি জানিয়ে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বান্দরবান কলেজ শাখার সভাপতি অলকা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় পর্যটনের নামে ভূমি বেদখল হয়েছে। পরে আন্দোলন করেও ফেরত পাওয়া যায়নি। একইভাবে পর্যটন এবং উন্নয়নের নাম করে পাহাড়িদের ভূমি আবারও দখলের পায়তারা চলছে।
এদিকে মানববন্ধন শেষে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তিন ইউনিয়নে ১১টি পাড়ার মারমা ও চাক সম্প্রদায়ের শতাধিক জনসাধারণ বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, নাইক্ষ্যংছড়ি, জারুলিয়া ও সোনাইছড়ি তিন মৌজায় ১১টি পাড়ার চাক ও মারমা সম্প্রদায়ের জনসাধারণ জুম চাষের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে, কিন্তু স্থানীয়দের সাথে আলোচনা না করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শফিউল্লাহ এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা পর্যটনের নামে জুমভূমির শতাধিক একর জমি দখল করছে।
স্মারকলিপিতে আরও অভিযোগ করা হয়, জমির চাহিদা বাড়াতে এবং এতে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তৈরির জন্যই ক্ষমতার অপব্যবহার করে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সরকারী টাকায় দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, কিন্তু সড়কটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এলাকায় এমন কোনো প্রাকৃতিক নৈসর্গিক দৃশ্য বা স্থান নেই যা পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।