নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে নানিয়ারচর সেনা জোন উদ্যোগে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০১৯ দুপুরে ৪৮তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে নানিয়ারচর জোন সদরে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উক্ত সংবর্ধঅনা অনুষ্ঠানে পাঁচজন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং দুইজন মৃত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে নানিয়ারচর জোন কর্তৃক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়া নানিয়ারচর জোন কর্তৃক আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও প্রীতিভোজে নানিয়ারচর জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ কাইয়ুম হোসেন (পিএসসি) বক্তব্য রাখেন।
এসময় দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা এবং পার্বত্য অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি কাজে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে ২৪ পদাতিক ডিভিশন যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে নানিয়ারচর জোনের অন্যান্য অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার এবং অন্যান্য পদবীর সৈনিকদের সাথে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানগন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নানিয়ারচর থানা, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গতঃ ১৯৭১ সালের ২১ নবেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। সেদিন থেকেই দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। আগে তিন বাহিনী ভিন্ন ভিন্ন দিনে দিবসটি পালন করত। ’৮০-র দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিন বাহিনী দিবসটিকে সম্মিলিতভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই থেকে ২১ নবেম্বরকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। আগে সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ, নৌ-বাহিনী ১০ ডিসেম্বর ও বিমান বাহিনী ২৮ সেপ্টেম্বর আলাদাভাবে দিবসটি পালন করে এসেছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালনের পিছনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জড়িয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানকে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের সঙ্গে একীভূত করে নেয়াই এই দিবসের মূল তাৎপর্য।