সম্পাদক পদে ৮ জনের নাম শোনা গেলেও রাজনীতির অঙ্গণে এগিয়ে হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর

2975

মিল্টন বাহাদুরঃ-রাঙ্গামাটিতে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ২৫ নভেম্বর। এরই মধ্যে সম্মেলনকে ঘিরে শহরে আনাচে কানাচে জমে উঠেছে জেলার রাজনীতি। সভাপতি পদে একক ভাবে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার থাকলেও গত তিন দশক ধরে সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে লড়াই হওয়া এই জেলায় এবারো সম্পাদক পদে জমে উঠেছে রাজনীতির মাঠ।
এবার এই সম্পাদক পদে ৮ জনের নাম শোনা যাচ্ছে নেতাকর্মীদের কাছে থেকে। তবে কেউ প্রকাশ্যে আবারো কেউ অপ্রকাশ্যে নেমেছে মাঠে। যার যার নিজস্ব আঙ্গিকে চালাচ্ছেন প্রচারণা অথবা মোবাইলের মাধ্যমে কিংবা ঘরে গিয়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সাক্ষাৎ করে জানতে চাচ্ছেন তাদের প্রতিক্রিয়া অথবা চাচ্ছেন নিজের ভোট ও যোগ্যতা।
রাঙ্গামাটি শহরে জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতির অঙ্গণে সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল উদ্দিন, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জসীম উদ্দিন বাবুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সভাপতি সাংবাদিক সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, বর্তমান কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মমতাজুল হক, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি জাকির হোসেন চৌধুরী।
এদের মধ্যে বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর সাম্প্রতিক সময়ে রাঙ্গামাটিতে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হত্যা, অপহরণ, হুমকিসহ ঘটে যাওয়া ঘটনাবহুল রাজনীতির অঙ্গণে শান্ত থেকে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দাপটের সাথে এইসব ঘটনাগুলি মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছেন এবং শহরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখেছিলেন।
বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারের মাতব্বর পরিবারের সন্তান। তিনি সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী ও সফল কাঠ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হলেও রাঙ্গামাটির রাজনীতির অঙ্গণে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। তিনি সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সবাইকে চমক দেখিয়েছিলেন। এরপর তিনি ক্ষমতাধর হাজী কামাল উদ্দিনকে গত ভোট যুদ্ধে পরাজিত করে নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষে নির্বাচনে অংশগ্রহন না করে নতুন মুখ শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানকে উপজেলা চেয়ারম্যানে নির্বাচনে দাড় করিয়ে তার পক্ষ হয়ে চষে বেড়িয়েছিলেন সদর উপজেলায়। আর এতে সফলও হয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি মনোনীত হন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে। একদিকে রাজনীতির অঙ্গণে দলের জেলা সম্পাদক আর তার সাথে গত দুই দুইবার জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে জেলায় বেশ নিষ্টার সাথে রাজনীতির অঙ্গণে কাজ করে গেছেন। এবারও ২৫ নভেম্বর জেলা সম্মেলনে একই পদে প্রার্থী এবং বেশ শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবেই বলা যায়।