শাহ আলম, রাঙামাটি>> পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহনে জশনে জুলুছের র্যালী ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাঙামাটি জেলার আয়োজনে আজ শুক্রবার (৮ অক্টোবর ২০১৯) দুপুরে জুমার নামাজের পর ঈদে মিলাদুন্নবী(দঃ) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে এই জশনে জুলছ অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদ থেকে শুরু হয়ে রাঙামাটি প্রেসক্লাব, দোয়েল চত্বর, পৌরসভা, কাঁঠালতলিসহ শহরের প্রধান সপ্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপা জামে মসজিদে শেষ হয়।
নানা রঙ-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন ও কলেমা খচিত পতাকা নিয়ে জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত উপজেলা থেকে হাজার হাজার মুসল্লি এই জুলুছের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাতে অংশ গ্রহন করে।
রাঙামাটি সিনিয়র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আল্লামা আলহাজ¦ নুরুল আলম হেজাজীর নেতৃতত্বে জেলা গাউছিয়া কমিটির আহবায়ক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবু সৈয়দ, সদস্য হাজী আব্দুল করিম খান, হাজী নাছির উদ্দিন, হাজী মোঃ মুছা ও হাজী মোঃ জসিম উদ্দিনসহ শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ, রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদ এ মিলাদুন্নবীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে বনরূপা জামে মসজিদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় অনুষ্ঠিত সমাবেশ বক্তারা বলেন, প্রিয় নবীজি(দঃ)-এর শুভাগমনে আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের নিয়ে উর্ধ্বাকাশে জুলুছ করেছিলেন, যা কোরআন-হাদিসের আয়াত দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমানিত। এছাড়াও এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এই জুলুছ নতুন কিছু নয়। তাই মিলাদুন্নবী(দঃ) উপলক্ষে জুলুছ করা উত্তম কাজ। দিন দিন জুলুছে লোক সমাগম বাড়ছে বলে সমাবেশে বলা হয়।
প্রসঙ্গত: ১ হাজার ৪০০ বছর আগে এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমেনার কোলে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আবার এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। ইসলাম ধর্মমতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) শেষ নবী। তাই তাঁর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ রবিউল আউয়াল মুসলমানদের কাছে পবিত্র দিন। মুসলমানরা প্রতিবছরই দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন।