রাঙ্গামাটিঃ-তিন বছরেও সংষ্কার হয়নি বিধ্বস্ত রাঙ্গামাটির পাহাড়ি সড়কগুলো। আর এই বিধ্বস্ত বিভিন্ন সড়কগুলো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সড়কে যাতাযাতরত এলাকার সাধারণ মানুষগুলো। এসব বিধ্বস্ত সড়কের ধস ঠেকাতে সড়ক ও জনপথ নামে মাত্র গাছ দিয়ে পাইলিং করে যাচ্ছে। আর এইসব বিধ্বস্ত সড়কগুলো একটি পুরোপুরো সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছে, খুব শিগগিরই শুরু করা হবে সড়ক সংস্কার কাজ।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে অতিবৃষ্টির কারণে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি-বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে ১৪৫টি স্থানে কমবেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তার মধ্যে ১১৩টি স্থানে সড়কে একেবারেই যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। কিন্তু গেলো তিন বছরেও সংষ্কারের উদ্যোগ নেইনি সংশ্লিষ্ট কেউ। এতে মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ এইসব সড়কগুলো। নানা শঙ্কা মধ্যে চলছে করছে ভারি, মাঝারি ও ছোট-বড় যানবাহন। আর এতে যে কোন সময় ছোট-বড় দূর্ঘটনার আশংকা করছে যাত্রীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাঙ্গামাটি শহরসহ অন্যান্য বিভিন্ন স্থানে বিধ্বস্ত সড়কের পাশে ভাঙনে গাছের খুঁটি দিয়ে পাইলিং দেওয়া হয়েছে। বস্তায় মাটি ভরে বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। এসব বস্তা আর খুঁটিকে সড়কের বিপরীত পাশ থেকে লোহার দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত বর্ষায় পানির প্রবাহে এসব মেরামত করা সড়কগুলো আবারো ধ্বসে গেছে। এতেও সড়কে যান চলাচলের ঝুঁকি এড়ানো যায়নি।
স্থানীরা বলছে, ‘আঁকাবাঁকা পাহাড়ি সড়কগুলো ভেঙে গিয়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সড়কের বিটোমিন, ইট, কংক্রিট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। আবার কোথাও সড়কের পাশে ভেঙে পড়েছে বিরাট অংশ। এসব সড়কের স্থায়ী সংস্কারের উদ্যোগ না নিয়ে বালির বস্তা দিয়ে দায় সেরেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারপরও কোনো রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখা হলেও এড়ানো যাচ্ছে না সড়ক দুর্ঘটনা। তাই পর্যটন শহর হিসেবে পরিচিত রাঙ্গামাটির সড়কগুলো দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থায় থাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ আবু মুছা বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের স্থায়ী কাজের জন্য এরই মধ্যে প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমতি পাওয়া গেলে আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সড়ক সংস্কার কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হবে। টেন্ডার হয়ে গেলে সড়ক সংস্কার কাজও দ্রুত চালু করা যাবে। এতে মানুষের দূর্ভোগ লাঘব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।