পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের দাবী করে সমাবেশ করা গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ – দীপংকর তালুকদার এম,পি

646

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটি : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। কয়েকদিন আগে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ দাবী করেছে তা আমরা মেনে নিতে পারিনা। কারন আমরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী। পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ দাবী করে সেখানে যে সমাবেশ করা হয়েছে তা ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ।এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে বুধবার সকালে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এম,পি এসব কথা বলেন।

দীপংকর তালুকদার বলেন, সেনাবাহিনীর উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে সেখানে একজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে আরো ৩জন। এসব হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করার একটি নীল নকশা। তারা মনে করেছিল সেনাবাহিনীর উপর হামলা করলে সেনাবাহিনী ও এখানে পাল্টা আঘাত করবে, কিন্তু সেনাবাহিনী তা করেনি, তারা অত্যন্ত ধৈর্য্যরে সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। এজন্য সেনাবাহিনীকে আমরা ধন্যবাদ জানাই এবং ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের শাস্তির দাবী জানাই।

রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বরের পরিচালনায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোঃ সোলাইমান চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক মনছুর আলী, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও রাঙ্গামাটি পৌরসভা মেয়র মোঃ আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ শাওয়াল উদ্দিন, মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি উদয়ন বড়–য়া, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক প্রকাশ চাকমা প্রমূখ।

দীপংকর তালুকদার বলেন, ৭৫ এর পর আওয়ামীলীগই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক বাহক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বাস্তবায়ন করার জন্য একমাত্র সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। এ সংগঠনের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল।

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন এবং দেশের অগ্রগতি এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার পর জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়, দীর্ঘ ২১টি বছর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালানো হয়। দেশের চরম ক্রান্তিলগ্নে আওয়ামীলীগের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারো ক্ষমতায় আসে। আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বে একটি রোল মডেল।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামীলীগের নেতৃত্বকে চিরতরে ধংস করে দেয়ার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। বর্তমানে ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে সকল ষড়যন্ত্রকে চিরতরে ধংস করে দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।

এর আগে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় বিক্ষোভ মিছিলটি রাঙ্গামাটির প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।