বরকল উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন

466

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বরকল উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বরকল উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় আলোচনা সভায় বরকল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এনায়েত আকন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বরকল উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক সিং হান রাখাইন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষকলীগের রাঙামাটি সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চাকমা, রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান টুটুল, বরকল উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি অংসাসিং মারমা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দোলন দাশ, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব কর্মকার।

সভায় বক্তব্য রাখেন, আইমাছাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ সাকিবুল ইসলাম হাবিব, সুবলং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, বরকল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃআসাদুজ্জামান (শামীম), উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় দেওয়ান, সহ-সভাপতি টিটন চাকমা, সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। ইতিহাসের বেদনা বিধুর ও বিভীষিকাময় এক দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়। তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও সেদিন ঘাতকের গুলি থেকে রেহাই পায়নি। ওই হত্যাকান্ডকে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অশ্রু ভেজা ও কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করে বক্তারা।

বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মৃত্যু বরণ করেননি বরং তিনি বেঁচে আছেন আমাদের মাঝে। তিনি জীবন দিয়ে দেশের প্রতি তার ভালবাসা প্রকাশ করে গেছেন। বক্তরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

আলোচনাসভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও কিছুক্ষন নীরবতা পালন করা হয়।