জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে দায়িত্বরত নির্বাহী প্রকৌশলী বরখাস্ত

369

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : নব নিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলীকে হেনস্তা করার অভিযোগে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের দায়িত্বে থাকা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের দায়িত্বরত নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. সোহরাব হোসেনকে বহিস্কার করা হয়েছে। তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের পাশাপাশি থাকে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর’র এর নির্বাহী প্রকৌশলী’র অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ৬ আগস্ট স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী মো. সোহরাব হোসেন সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি৩ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলায় আনীত অভিযোগসমূহ সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিধি ১২(১) অনুযায়ী তাঁকে চাকুরী থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তবে বহিস্কারকালীন সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।’

এই বিষয়ে বরখাস্ত হওয়ায় নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সোহরাব হোসেনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগ দিতে এসে হেনস্থার শিকার নতুন পদায়নকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী মো.কামাল হোসেন বলেন, জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলের নেতৃত্বে ২০টি মোটর সাইকেল যোগে ৪০-৫০ জন লোক এসে আমাকে জোর করে বের করে দেয় এবং আমাকে নাজেহাল করে। আমি এক পর্যায়ে নীচে মসজিদের ভিতরে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করি।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল বলেন, ‘সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগ। চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক যোগদানপত্র গ্রহণ করা হলে তিনি যোগ দিতে পারবেন। কিন্তু জেলা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই তিনি জোর করে অফিসে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে এসময় তাঁকে (নতুন নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল হোসেন) লাঞ্চিত করা হয়নি বলে জানান তিনি।’

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রশীদ জানান, ‘নতুন নির্বাহী কর্মকর্তার যোগদান নিয়ে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে আমরা পাবলিক হেলথে আসি। পরে জানতে পেরেছি, একজন প্রভাবশালী জেলা পরিষদ সদস্যের নেতৃত্বে নতুন নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস না করার জন্য হুমকি দিয়েছেন। নতুন নির্বাহী প্রকৌশলী নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের কাছে যেভাবে সহযোগিতা চাইবেন আমরা সেভাবে সহযোগিতা করব।’