নিজস্ব প্রতিবেদক,রাঙ্গামাটি : রাঙ্গামাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলায় একাধিক বার সমন দেওয়া হলেও সাক্ষ্য দিতে না আসায় এক বন কর্মকর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৫ আগষ্ট) রাঙ্গামাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএনএম মোরশেদ খান এর আদালত এ আদেশ দেন। জেলায় এটিই প্রথম এধরণে আদেশের ঘটনা ঘটলো।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের সাবেক বন প্রহরি জয়নাল আবেদীন টানা ৬টি ধার্য্য তারিখে সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ‘বিচার বিভ্রাট’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আদালত এ ব্যবস্থা নিয়েছেন।
বিচারক আদেশে উল্লেখ করেছেন আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ধার্য তারিখে আদালতে হাজির করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাক্ষি আদালতে হাজির না হওয়া পর্যন্ত তার মাসিক বেতন স্থগিত রাখার আদেশ কার্যকর করতে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলা হিসবা রক্ষণ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, অবৈধভাবে সরকারি সংরক্ষিত সেগুন বন বাগান থেকে সেগুন গাছ কর্তন ও পাচার করার একটি ঘটনায় গত ৬/৪/২০১১ তারিখে একটি মামলা( বন(সি. আর) মামলা নং-১৭/১১) রুজু হয়। এতে খাগড়াছড়ির দিঘিনালা হেডম্যানপাড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমান, খোকন মিঞা, ফিরোজ মিঞা ও আলমগীর হোসেনকে আসামী করা হয়। আর মামলার সাক্ষি চার বন প্রহরির মধ্যে ২ নম্বর সাক্ষি হন মোঃ জয়নাল আবেদীন।
কিন্তু গত বছরের ২৮ আগস্ট আদালতের ধার্য্য তারিখে আসামীরা ‘সাক্ষির জেরা’ করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে সাক্ষিদের আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদানের আদেশ দেন আদালত। তবে এরইমধ্যে ১ নম্বর সাক্ষি গোলাম মোর্তজার (ফরেস্টার) মৃত্যু হওয়ায় আর ২ নম্বর সাক্ষি আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচার কাজে বিভ্রাট তৈরীর সম্ভাবনা দেখা দেয়।
মামলার সরকারী আইন কৌশলী (এফসিসিও) গোলাম রব্বানী আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যতদুর জানতে পেরেছি বনপ্রহরী জয়নাল আবেদীন বন বিভাগের ঢাকা অঞ্চলে কর্মরত আছেন। রাঙ্গামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ মনজুরুল ইসলাম বলেন, আদেশটি কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।