খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা : খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বন্য পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে মাইনী নদীতে আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে। উপজেলার ২৫টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার তিন দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতন জীবন যাপন করছে।
১২টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে তিন শতাধিক পরিবার। দীঘিনালা সাথে রাঙ্গামাটির লংগদু সড়ক যোগাযোগ এখনো বিছিন্ন রয়েছে। দূর্গম এলাকায় তীব্র বিশুদ্ধ পানির সংকট চলছে। পানিবন্দি এলাকার লোকজনদের নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলায় ৪৫ হাজার ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ট্যাবলেট ও পানির জার বিতরণ করছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষধ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও সেনাবাহিনীর উদ্যোগে দূর্গত এলাকায় রান্না করা খাবারসহ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এদিকে টানা ৬দিন টানা বর্ষণে পাহাড় ধ্বস ও বন্যায় পুরো খাগড়াছড়ি জেলা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে। শত শত পুকুরের মাছ ও জমির ফসলের পাশাপাশি বসতবাড়ী ও অভ্যন্তরীন সড়ক-ব্রিজ-কালভার্টের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি শহরের মধুপুরে দোকানপাটসহ স[ড়কের একটি অংশ ডেবে গেছে। পানছড়ির দুদুকছড়া ব্রীজের একাংশ ধসে পড়ায় ২০ গ্রামের মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, যে কোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে জেল প্রশাসন। পানিবন্দি মানুষদের সাহায্যার্থে রান্না করা খাবারের পাশিপাশি ৫০ মেট্রিক টন চাউল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া দীঘিনালা বাবুছড়ায় পাহাড় ধ্বসে নিহতের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।