লিডারশিপ টু এনসিউর এডুকোয়েট নিউট্রিশন কর্মকর্তাদের সাথে জেলা পরিষদ প্রতিনিধির বৈঠক

727

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটি : পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার মা এবং শিশু পুষ্টির উন্নয়নে সহযোগিতা করার জন্য লিডারশিপ টু এনসিউর এডুকোয়েট নিউট্রিশন প্রকল্পের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী ও সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়ার সাথে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইউনাইটেড পারপাস এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীরামাপ্পা গনচিকারা, প্রকল্প পরিচালক সৌভাগ্য মঙ্গল চাকমা এবং এনজিও জুম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সুজল কান্তি চাকমা।

প্রতিনিধি দল লিডারশিপ টু এনসিউর এডুকোয়েট নিউট্রিশন (লিন) প্রকল্পের সার্বিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার মা এবং শিশু পুষ্টির উন্নয়নে অবদান রাখা। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রধান সংস্থা ইউনাইটেড পারপাসসহ মোট ছয়টি সংস্থা কাজ করছে। এদের মধ্যে হেলভেটাস সুইস ইন্টার কোঅপারেশন এবং গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইমপ্রুভড

নিউট্রিশন (গেইন) এই দুটি সংস্থা হচ্ছে টেকনিক্যাল পার্টনার এবং তিনটি স্থানীয় এনজিও(খাগড়াছড়িতে আইডিএফ, রাঙ্গামাটিতে জুম ফাউন্ডেশন এবং বান্দরবানে কারিতাস) যাদের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার আওতাধীন ১৮টি নির্বাচিত উপজেলার মানুষের অপুষ্টির অনিয়মের চিরস্থায়ী চক্র ভেঙ্গে ফেলা।

তারা আরও বলেন, ইউরোপিয়ান কমিশন (ইসি)-এর অর্থ সহায়তায় এই প্রকল্পটি কাজ করবে ২৮২,০০০ জন গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মহিলাদের মাতৃত্ব এবং শিশুর পুষ্টি উন্নয়নে, ৫ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের এবং কিশোরী বলিকাদের পূর্ণাঙ্গ, পুষ্টি সংবেদনশীল এবং পুষ্টি ভিত্তিক খাদ্যের বহুমুখীতা এবং সর্বাপেক্ষা ঝুকিপূর্ণদের জন্য আয় সম্বলিত জীবনযাত্রার মডেল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যাতে করে স্থানীয়, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ের সকল স্তরে পুষ্টিসংবেদনশীল গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠা করা যায়।

পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী ও সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন। তারা বলেন রাঙ্গামাটি জেলার পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উন্নয়নে ইউনিসেফ, ব্রাকসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। প্রকল্পের দ্বৈততা পরিহার এবং সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জেলার সকল মানুষের পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণে প্রকল্পটির বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন জন্য তারা।