লংগদুতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক বসতঘর, উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা প্রদান

453

লংগদু প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ বাজারে বুধবার মধ্যরাতে অগ্নিকান্ডে ৩টি দোকান, ২টি ফার্নিচার কারখানা সহ শতাধিক বসতঘর পুড়ে গেছে।

পরে স্থানীয় এলাকাবাসী, সেনাবাহিনী, দিঘীনালা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহযোগিতায় ৫ ঘন্টার চেষ্টা চালানোর পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকান্ডে কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা ধারণা করছে বসত ঘরের চুলা থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

এলাকাবাসীরা জানায়, বুধবার মধ্যরাত পৌনে একটার সময় মানুষ যখন গভীর ঘুমে ছিলেন ঠিক তখনই এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডের বিষয়টি জানা গেলে স্থানীয় লোজনের চিৎকারে এলাকাবাসী, সেনাবাহিনী পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্ররে আনার চেষ্টা চালায়। পরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় প্রায় ৫ ঘন্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ সময় লংগদু সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মিরাজ হায়দার চৌধুরীর, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ জানে আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রবীর কুমার রায়, লংগদু থানার ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত উপস্থিত থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতা করেন।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা প্রদান : এদিকে লংগদুতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের মাঝে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জোন কমান্ডারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকার ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে এই ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে থেকে ত্রান ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার প্রতি ৩০কেজি হারে চাল, খাদ্য সামগ্রী, রান্নার উপকরণ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর পক্ষ থেকে পরিবার প্রতি একটি করে শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে।

এসময় লংগদু জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মীরাজ হায়দার চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল বারেক সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রবীর কুমার রায়, অফিসার ইনচার্জ রঞ্জন কুমার সামন্ত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মীর সিরাজুল ইসলাম ঝান্টু চৌধুরীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।