পাহাড়ের উন্নয়নে আওয়ামীলীগ সরকার যথেষ্ট আন্তরিক- দীপংকর তালুকদার এমপি

857

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের আওয়তায় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলাতে হতদরিদ্র পরিবার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঝে সোলার প্যানেল বিতরন করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২৯জুন) সকালে ১১টায় কাউখালী উপজেলা পরিষদের আয়োজনে পরিষদের অডিটরিয়ামে এ সোলার প্যানেল বিতরন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সামশু দোহা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শতরূপা তালুকদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ এরশাদ সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অংপ্রু মার্মা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিবাং মার্মা, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন। এছাড়াও উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, সাংবাদিকবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সোলার প্যানেল সংগ্রহকারী উপকারভোগী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় দীপংকর তালুকদার বলেন, অতীতে কোন সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবেননি। যার কারণে পার্বত্য অঞ্চল অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে পিছিয়ে ছিলো। কিন্তু পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের জন্য বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। যার কারণে গত ১০ বছরে পাহাড়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এবারো পার্বত্য অঞ্চলের বিদ্যুত সংযোগের জন্য ৫২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ আছে, যারা পাহাড়ের উন্নয়ন চায় না। যারা সব সময় বিভিন্ন সময় পাহাড়ে সহিংসতার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। যেখানে সম্প্রীতি থাকবে না। সেখানে উন্নয়ন সম্ভব না। আর উন্নয়ন না হলে দেশে এগিয়ে যাবে না। তাই তিনি সকল জাতিগোষ্ঠীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পরিত্যাগ করে, হানাহানি ভুলে সরকারের উন্নয়নে সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি।

আওয়ামীলীগ সরকারের সহায়তায় পাহাড় এখন অনেক উন্নত হয়েছে উল্লেখ করে দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, পাবর্ত্যাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য সরকার নানা প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। রাঙামাটির দুর্গম অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুতের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলের ২৬টি উপজেলা এখন বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে। আর যেসব এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়নি, সেসব এলাকায় সৌরশক্তি ব্যবহার করে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতর আলোয় আলোকিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ১৯৮টি পরিবার ও ১০টি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বমোট ২১০টি সোলার প্যানেল বিতরণ করা হয়।