গোলটেবিল বৈঠকে: আঞ্চলিক সশস্ত্র গ্রুপগুলোর কারণেই পাহাড়ে শান্তি, শৃঙ্খলা, সম্প্রীতি ও সহবস্থান নেই: রোমান

718

পাহাড়ের আলো ডট কম, অনলাইন ডেস্ক: পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোর গুম, হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ সাধারণ জনগনের উপর সন্ত্রাসী কর্যকলাপের কারণেই পাহাড়ে শান্তি, শৃঙ্খলা, সম্প্রীতি ও সহবস্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান।

‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন : সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ক‚টনীতিক ও আইসিএলডিএস-এর চেয়ারম্যান মো. জমির।

বৈঠকে রোমান বক্তৃতায় স্থানীয় বাস্তবতা এবং চুক্তি বাস্তবায়নের অন্তরায়গুলো তুলে ধরে রোমান বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্প্রীতি ও সহবস্থানের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হলেও বর্তমানে সারা দেশে সার্বিক উন্নয়ন সম্প্রীতি ও সহাবস্থান থাকলেও, পার্বত্য অঞ্চলে এখন নানা কারণে শান্তি, শৃঙ্খলা, সম্প্রীতি ও সহবস্থান নেই। শান্তি, শৃঙ্খলা, সম্প্রীতি ও সহবস্থানের লক্ষে অতি দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানের জন্য রাষ্ট্র্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গসহ সকল প্রকার প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহব্বান জানান তিনি।

বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং (এমপি) উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আইসিএলডিএস-এর নির্বাহী পরিচালক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ। দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

পৃথকভাবে তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব, রাষ্ট্রদূত ও ক‚টনীতিক সি এম শফি সামি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান মহসিন রুমান, খাগড়াছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল আলম, বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা, লক্ষীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন, সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের জন্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভূমি কমিশন কার্যকর ও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। সহিংসতা দূর করতে হলে সংবিধানের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন এবং স্থানীয় সব শ্রেণির জনগণ সঙ্গে নিয়ে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। সবাই উদার মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসলে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির সুবাতাস ফিরে আসবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা। কৃতজ্ঞতা ভোরের কাগজ