খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি পাসপোর্ট অফিসে হানা এবং খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের ২০ লাখ টাকার টেন্ডারিং কাজের অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এর আগে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে অভিযান চালিয়েছে দুদকের রাঙ্গামাটির সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
অভিযানকালে দুদক কর্মকর্তারা সেখানে ঘুষের বিনিময়ে পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন। এ সময় ভুক্তভোগী কয়েকজন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালালচক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন।
এরপর দুদক কর্মকর্তারা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ‘প্রকল্প কমিটি’র মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন একটি উন্নয়ন প্রকল্পের খোঁজখবর নেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা নেন এবং প্রকল্প এলাকা সবুজবাগ ঘুরে দেখেন। দুদক কর্মকর্তারা এ সময় অনিয়মের সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন। উল্লেখ্য, এক পাসপোর্ট ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুদক কর্মকর্তারা।
দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া আবুল কাসেম (কেসিসি) নিজের বাড়ির ধারক প্রাচীরের কাজ দেখালেও বাস্তবে সরকারের ২০ লাখ টাকাই আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পে ‘আবুল কাসেমের বাড়ি থেকে রফিকের বাড়ি পর্যন্ত ধারক প্রাচীর’ উল্লেখ থাকলেও কাজের অর্ধেকও বাস্তবায়ন হয়নি। জানা গেছে ৯০ মিটার দীর্ঘ ধারক প্রাচীরটি আরসিসি দ্বারা নির্মাণ করার পরিবর্তে তারা ইট দিয়ে করা হয়েছে বলে দুদকের কর্মকর্তারা সরেজমিন নিশ্চিত হয়েছেন। তাঁরা জানান, বিষয়টি বিষয়টি অধিকতরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
অভিযানে দুদকের রাঙ্গামাটি সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ, সহকারী পরিচালক মো নজরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক আবুল বাশারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অভিযানে অংশ নিয়েছে। অপরদিকে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী জীবন রোয়াজাকে জিজ্জাসবাদ করা হয়েছে।