১৬ ঘন্টা পর ভেসে উঠলো এ্যাডভোকেট হামেদ হাসানের মরদেহ

410

কাপ্তাই প্রতিনিধি – রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের শিলছড়িস্থ কর্ণফুলী নদী থেকে অবশেষে ১৬’ঘন্টা পর শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে ভেসে উঠলো চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মরহুম এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর একান্ত সহকারী (এপিএস) ওসমান গণীর ছোট ভাই এ্যাডভোকেট হামেদ হাসানের (৩০) মরদেহ। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ভগ্নিপতি আনোয়ারুল আরেফিন অনুর (১৯) মরদেহ উদ্ধার করে নৌ বাহিনীর ডুবুরী দল।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার কাপ্তাইয়ের শিলছড়িতে ঘুরতে এসে টিম্বার সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে বিকেল সাড়ে ৩’টার সময় গোসল করতে নেমে তলীয়ে যায় চট্টগ্রামের চকবাজারের বাদুরতলার মো. কায়কো-বাদের ছেলে এ্যাডভোকেট হামেদ হাসান (৩০)। এবং তার ভগ্নিপতি চট্টগ্রামের হালি শহরের খাঁন বাড়ির আরিফ খাঁনের ছেলে আনোয়ারুল আরেফিন অনু (১৯)।

স্থানীয়রা সাথে সাথে বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে নৌবাহিনীর ডুবুরী দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বিকেল সাড়ে ৪’টার সময় আনোয়ারুল আরেফিন অনুর মরদেহ উদ্ধার করলেও দিনরাত একনাগারে উদ্ধার অভিযানেও সন্ধান মিলেনি হামেদ হাসানের। অবশেষে শুক্রবার কর্ণফুলী নদীতে ভাসমান অবস্থায় দেখা যায় এ্যাডভোকেট হামেদ হাসানের মরদেহ।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল ও কাপ্তাই থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মো. নূর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার সময় তার ভাই ওসমান গণীর কাছে হামেদের মরদেহটি তুলে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কাপ্তাইয়ের শিলছড়িস্থ বাংলাদেশ টিম্বার এন্ড ফ্লাই উডের (২য় ইউনিট) মহা ব্যবস্থাপকের এক আত্মীয় চট্টগ্রামের হালিশহরের খান বাড়ির আরিফ খান বৃহস্পতিবার স্ব-পরিবারে কাপ্তাই ঘুরতে আসে। পরে দুপুরে পর তার ছেলে আনোয়ারুল আরেফিন অনু (১৯) ও চট্টগ্রামের চকবাজারের বাদুরতলার মো. কায়কো-বাদের ছেলে হামেদ হাসান (৩০) গোসল করতে কর্ণফুলীতে নেমে তলিয়ে যায়।