খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি – খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সন্তু লারমা) গ্রুপের কেন্দ্রীয় নেতা লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা সভাপতি দেবরান চাকমা প্রকাশ ধীমান চাকমা (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার মানিকছড়ি শহরের মাস্টার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ধীমান চাকমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
আহত দেবরান চাকমা ওরফে ধীমান চাকমা লক্ষীছড়ির দূর্গম জনপদ বর্মাছড়ির শুকনাছড়ির রাঙ্গাচান চাকমার ছেলে। তিনি স্ত্রী ও ২ মেয়েসহ দীর্ঘদিন ধরে মানিকছড়ি উপজেলা সদরে বসবাস করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি মোটরসাইকেলে ৩ জন দুর্বৃত্ত এসে খুব কাছ তলপেটে গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় ধীমান চাকমাকে উদ্ধার করে মানিকছড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
চিকিৎসক ডা. মহিউদ্দীন জানান, একটি গুলি ধীমান চাকমা’র বুক ভেদ করে পেছন দিক দিয়ে বের হয়ে গেছে। গুলিটি লিভারে আঘাত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে তাঁর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে জনসংহতি সমিতি সন্তু লারমা গ্রুপের কেন্দ্রীয় কমিটির স্টাফ সদস্য উদয়ন ত্রিপুরা এই ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতির অপর অংশ জনসংহতি সমিতি এমএন লারমাকে দায়ী করছে।
অন্যদিকে ঘটনার পর পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ব্যবহৃত একটি বুলেট (কার্তুজ) উদ্ধার করেছে।
মানিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রশীদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, ঘটনার পর লোকালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে খোঁজখবর ও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ তদন্ত কাজ শুরু করেছে।