সমন্বয়ের মাধ্যমে মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে কাজ করতে হবে……. বৃষ কেতু চাকমা

548

নিজস্ব প্রতিবেদক- জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, সমন্বয়ের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি জেলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকলে পাহাড়ের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব হবে। তিনি বলেন, কর্মকর্তারা যে জেলারই হোক না কেন সরকার তাকে জনকল্যানের স্বার্থেই বিভিন্ন জেলায় বদলী করেন। তাই জনগণের কল্যাণে কাজ করতে তিনি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন। পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার বলেন, চলতি বছরে জেলায় মহামারি আকারে বড় ধরনের কোন রোগ এখনো দেখা যায়নি। ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগের সচেতনতায় স্বাস্থ্যকর্মীরা সচেতনাতামূলক বার্তা ও লিফলেট বিতরণ করছে। প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেলিভারী রোগীদের জন্য আলাদা কক্ষ করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এখতিয়ারধীনে রয়েছে। অন্যদিকে জেনারেল হাসপাতালে সকল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম অব্যাহৃত রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা জানান, চলতি মাসে কয়েকদিন অতি বৃষ্টিপাতে জেলার কাউখালী উপজেলায় ধান ও শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ধানে এক ধরনের চিটা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ এসে এ রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষার করার বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, জেলায় প্রধান শিক্ষক পদায়নে ১৬৬জনের তালিকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২২জন প্রধান শিক্ষক পদায়নে কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় সদরে পদায়ন কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। অভিযোগ তদন্ত পূর্বক পরবর্তীতে শিক্ষকদের পদায়ন করা হবে। যেসব বিদ্যালয়ে পদায়নে জটিলতা নেই সেখানে পদায়ন করা হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা বলেন, গত ১৬ অক্টোবর জেলার দুর্গম জুরাছড়ি উপজেলা শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক, অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাথে মতবিনিময়সভা করা হয়েছে। এ ধরনের সভা অন্যান্য উপজেলায়ও করা হবে। এছাড়া জেলা পরিষদ কর্তৃক ৭ম শ্রেণী মেধাবৃত্তি কার্যক্রমটি আগামীতে করা হবে। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনায় প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে উচ্চ বিদ্যালয় করা হয়েছে এবং কিছু কলেজও সরকারিকরণ হয়েছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মনোরঞ্জন ধর বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের কৃত্রিম প্রজনন, চিকিৎসা সেবা, টিকা প্রদান, প্রশিক্ষণ, উঠান বৈঠক কার্যক্রম চালু রয়েছে। এছাড়া নিয়মিত গবাদি পশুকে চিকিৎসা ও প্রোডাকশন কার্যক্রম যথারীতি চলছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অঃদাঃ) মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, আতœকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বেকার যুবদের বর্তমানে যুব উন্নয়নে ৮টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে

হর্টিকালচার সেন্টার বালুখালী, বনরুপা, নানিয়ারচর ও কাপ্তাইয়ের উদ্দ্যান তত্ববিদরা জানান, নার্সারিতে টার্গেট অনুযায়ী হাড়িভাঙ্গা, আ¤্রপালি, লিচু, নারিকেল’সহ বিভিন্ন প্রজাতি গাছের চারাকলাম উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রয় কার্যক্রম চলছে।
সভায় অন্যান্য হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ তাদের বিভাগের স্ব স্ব কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।