পাহাড়ে পূনর্বাসনের নামে ষড়যন্ত্র হচ্ছে ……. পার্বত্য নাগরিক পরিষদ

932

পাহাড়ে পূর্নবাসনের নামে গভীর ষড়যন্ত্র হ”েছ বলে দাবী করেছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ। সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রতিবাদসভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে ভূমিহীন অভ্যন্তরীণ লক্ষাধিক বাঙালি পরিবারকে পূর্নবাসন ও নতুন করে ৮২ হাজার উপজাতীয় পরিবারকে পূর্নবাসনের জন্য সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে পার্বত্য মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জি: আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া, বিশেষ অথিতি ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের যুগ্মসম্পাদক মো: শেখ আহাম্মদ রাজু, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সমন্বয়ক আবদুল হামিদ রানা। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: ইব্রাহিম মনির।

প্রধান অথিতি তার বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের সংখ্যা বাড়াতে ভারতের মনিপুর, আসাম ও মেঘালয় এবং মায়ানমার থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের এদেশে এনে শরণার্থী হিসেবে সাজানোর ষড়যন্ত্র চালানো হ”েছ। আর এজন্য ভারত প্রত্যাগত ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি (উপজাতীয়) শরণার্থী বিষয়ক কমিটি ট্রাস্কফোর্স গত সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখের এক বৈঠকে নতুন করে ৮২ হাজার উপজাতি শরণার্থী পূর্ণবাসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ট্রাস্কফোর্স এর চেয়ারম্যানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বাঙালী নেতৃবৃন্দা মনে করেন বলে জানান। বাঙালী বিরোধী এমন সিদ্ধান্ত পার্বত্যবাসী কখনও মেনে নিবে না বলে হুশিয়ারী উ”চারন করা হয়।
বক্তারা বলেন, সর্বশেষ আভ্যন্তরীণ ভারত প্রত্যাগত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি (উপজাতীয়) শরণার্থী ২১টি পরিবারকে খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালায় জামতলীতে পূনর্বাসন করা হয়। কিš‘ পার্বত্যচট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের হাতে হত্যা নির্যাতনের শিকার উদ্বা¯‘ ৫৬ হাজার বাঙালি পরিবারকে এখন পর্যন্ত পূনবার্সনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

অন্যদিকে ২২,২২২টি উপজাতীয় পরিবারকে পূণর্বানের পর উপজাতীয়- ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী, আভ্যন্তরীণ উপজাতীয় কোন উদ্বা ছিল না। তাহলে হঠাৎ করে ৮২ হাজার উদ্বা¯‘ কোথা থেকে আসল তা পার্বত্যবাসী জানানোর দাবী জানানো হয়।

বক্তারা মনে করেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম কে সন্ত্রাসীদের কাঙ্খিত জুম্মল্যান্ড বানাতে গোপনে মায়ানমার ও ভারত থেকে কৌশলে পার করে আভ্যন্তরীণ উদ্বা¯‘ সাজানো হ”েছ। পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষায় সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোসহ তালিকা টি বাতিল করে যাচাই বাচাইয়ের মাধ্যমে ৫৬ হাজার বাঙালি পরিবার কে পূনর্বানের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান বক্তারা।

বক্তারা আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বাঙ্গালীদের ভূমি বন্দোবস্ত বন্ধ থাকায় ভূমি রেজিষ্ট্রি হ”েছনা, তাই তিন পার্বত্য জেলায় লক্ষাধিক বাঙ্গালী বসতভূমিতে দখলসত্ত্ব থাকা সত্ত্বেও সরকারের তালিকায় ভূমিহীন আর নিজ নামে ভূমি বন্দোবস্তি বা রেকর্ড না থাকায় বাঙ্গালীরা যুগের পর যুগ বসবাস করেও ¯’ায়ীবাসিন্দার সনদ পেতে ব্যর্থ হ”েছ, আর ¯’ায়ী বাসিন্দার সনদ না থাকায় নাগরিকত্ব সহ সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হ”েছ। বাঙালীদের প্রতি বিমাতাসূলভ আচরন বন্ধ করাসহ আভ্যন্তরীণ লক্ষাধিক বাঙালি উদ্বা¯‘কে সম্মানজনকভাবে পূণর্বাসনের দাবী জানান নেতৃবৃন্দ।

পাহাড়ে পূনর্বাসনের নামে ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এর জবাব দেয়া হবে বলে হুশিয়ারী উ”চারণ করা হয়। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)