মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ৪৫ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষ সাক্ষরতা অর্জন করবে

452

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘‘সাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’’ এই পতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০১৮ পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে রাঙামাটি পৌরসভা হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আলম, সহকারী সিভিল সার্জন, ডঃ নিহার রঞ্জন নন্দি, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা, জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম, রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ওসি সত্যজিৎ বড়–য়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এসময় বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষর্থীবৃন্দ উপস্তিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান প্রদানের লক্ষ্যে ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)’ বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে দেশের ১৫-৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষ সাক্ষরতা অর্জন করবে।

বক্তারা আরো বলেন, শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র এবং নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলায় পরিণত করতে হবে। এটি বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সরকার পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও ব্যাপক কমসূচি গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকারের গৃহীত সাক্ষরতা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংক্রান্ত উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করে দেশকে সোনার বাংলায় রুপান্তরিত করার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।