‘অধিনায়ক’ আশরাফুলের যে রেকর্ড নেই আর কোনো বাংলাদেশির

550

স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ১৭৭ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মাত্র ৩টি সেঞ্চুরি করতে পেরেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু এই ৩ সেঞ্চুরির একটিতেই করেছেন এমন এক রেকর্ড যা নেই আর কোন বাংলাদেশি ক্রিকেটার বা অধিনায়কের।

এখনো পর্যন্ত খেলা ১৭৭টি ওয়ানডের মধ্যে ৩৮টিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। যার মধ্যে ২৫ ম্যাচে টসে জিতেছেন তিনি। এই ২৫ ম্যাচের একটিতেই গড়েছেন বাংলাদেশের ‘টস জয়ী অধিনায়ক’ হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করার একমাত্র রেকর্ডটি।

২০০৮ সালের এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই আরব আমিরাতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। পরে তার ব্যাটে চড়েই নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ৩০০ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।

সেদিন ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্যাট করতে নেমে ৪৪তম ওভারে রানআউটে কাটা পড়ে সাজঘরে ফেরেন আশরাফুল। মাঝের সময়ে ১২৬ বল মোকাবেলা করে ৮ চারের মারে তার ব্যাট থেকে ১০৯ রানের ইনিংস। যা কিনা ওয়ানডে ক্রিকেতে বাংলাদেশের ‘টস জয়ী অধিনায়ক’দের একমাত্র সেঞ্চুরি।

আশরাফুলের অধিনায়কত্ব অধ্যায়ের আগে পরে তার টস জেতা টস জেতা ২৫ ম্যাচ বাদ দিলেও সবমিলিয়ে ১৩৯ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়কেরা। কিন্তু কেউই ছুঁতে পারেননি তিন অঙ্কের জাদুকরী সংখ্যা।

টস জয়ী অধিনায়ক হিসেবে আশরাফুলের সেই সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ মুশফিকুর রহিমের। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১০৯ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের টস জয়ী অধিনায়কদের সেঞ্চুরি মাত্র একটি হলেও ফিফটি রয়েছে মোট ১১টি। বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়ানডে ফরম্যাটে টসে জেতা অধিনায়কদের সেঞ্চুরি করার রেকর্ড মোট ১৩১টি।

তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের টস জয়ী অধিনায়কের সেঞ্চুরি মাত্র ১টি হলেও টেস্ট ক্রিকেটে এই সংখ্যাটা ৩টি। বাংলাদেশের ইতিহাসে টসে জেতা অধিনায়ক হিসেবে সর্বপ্রথম সেঞ্চুরি করেন হাবিবুল বাশার। ২০০৪ সালে উইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্টেই তিনি খেলেছিলেন ১১৩ রানের ইনিংস।

টেস্ট ক্রিকেটে টস জয়ী অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে সবশেষ সেঞ্চুরিটি মুশফিকুর রহিমের। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংসটাউন টেস্টে তখনকার অধিনায়ক মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছিল লড়াকু ১১৬ রান।

মাঝে ২০১০ সালের নিউজিল্যান্ড সফরে সাকিব আল হাসান নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটিই করেছিলেন টস জয়ী অধিনায়ক হিসেবে। হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৭ রান করা সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ঠিক ১০০ রান। এছাড়া আরও দুইবার টস জয়ী অধিনায়ক হিসেবে ৯৬ রানের ইনিংস রয়েছে সাকিবের নামের পাশে।

টেস্ট ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ১০৮ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের টসে জেতা অধিনায়কেরা। এর মধ্যে বাশার, সাকিব ও মুশফিকের তিনটি সেঞ্চুরি ছাড়া আরও ১৫ বার পঞ্চাশ ছাড়াতে সক্ষম হয়েছেন তারা। বিশ্ব ক্রিকেটে টেস্ট ফরম্যাটে টসে জেতা অধিনায়কদের সেঞ্চুরি করার রেকর্ড মোট ৩২৩টি। টেস্টের রেকর্ড ৪০০ রান করার দিনও টসে জিতেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তখনকার অধিনায়ক ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান চার্লস লারা।