প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘‘মাদার অব সিএইচটি’’ উপাধি দিয়েছেন বীর বাহাদুর

652

 
রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভু-কেন্দ্র উদ্বোধন এর পর এক প্রতিক্রিয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আজকে পার্বত্যবাসীর সকল জনসাধারণ আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বিশেষ করে এই জায়গাটি একটি ঐতিহাসিক স্থান, ১৯৭৫ সনের ১৪ই জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ভূ-উপকেন্দ্রটি তিনি নিজ হাতে উদ্বোধন করেছিলেন। আজকে আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং তার সন্তান সজীব ওয়াজেদ এর নেতৃত্বে স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষপন করা হয়েছে। আজ আমরা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। আজ থেকে ৪০বছর আগে বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ও দৃষ্টি অনেক মেধা সম্পন্ন ছিলো বিধায় আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি। তিনি ভাবতেন এই দেশের মানুষকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাবেন যাতে করে, সারা বিশ্বের মানুষ আমাদের সম্মান করে। সেই আলোকে তারই কন্যা শেখ হাসিনা সেই আশা পূরণ করছে।
তিনি আরো বলেন, এক সময় এই এলাকায় আমরা কোন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারতাম না। কিন্তু আওয়ামলীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা চালু করেছেন।
পার্বত্য এলাকার অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চল রয়েছে যেখানে এখনো তথ্য প্রযুক্তির ছোয়া লাগেনি। কিন্তু আমরা আশা করি তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়া সব এলাকায় এখন লাগানো সম্ভব। বিদ্যুৎ যেখানে এখনো পৌঁছেনি, সেখানে তা সম্প্রসারণ করার জন্য ৫৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার যার কাজ এখন চলমান। শুধু তাই নয় যেই জায়গায় আগে বিদ্যুৎ পৌচ্ছানো সম্ভব ছিল না, সেই সব জায়গাগুলোতে বিনা পয়সায় প্রত্যেকটি পরিবারকে সৌর বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। আমরা ৫হাজার পরিবারকে দিয়েছি। এখনো ২৫-৩০ হাজার পরিবার বাকী আছে।
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন তা দ্রুত কার্যক্রম শুরু করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য বাসীর জন্য যা করেছেন তা অতুলনীয়। আমরা মনে করি, তিনি পার্বত্য বাসীর জন্য সত্যিকারের ‘‘মাদার অব সিএইচটি’’ ।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে , শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে আগামীর দিনগুলোতে আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হবো।
সংবাদ সিএইচটি টুডে